নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগীর মা সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মো. আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া ও ফয়েজ ভূঁইয়া।

ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মো.

আব্দুল্লাহ জোর করে ওই শিক্ষার্থীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে ফেলেন। পরে তার দুই বন্ধুকে মুঠোফোনে ডেকে আনেন। পরে তিনজন মিলে হাত–পা বেঁধে পালাক্রমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ভুক্তভোগীকে তাঁরা ছেড়ে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র পরিবারটির সদস্যরা ঘটনাটি স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে জানান। তাঁরা ঘটনাটি মীমাংসার আশ্বাস দেন। প্রায় দুই সপ্তাহ পরেও কোনো সুরাহা না পেয়ে সোমবার ওই শিক্ষার্থীর মা সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আইন–আদালত বুঝি না। গ্রামের মাতবরেরা মীমাংসার কথা বইলা কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই। সোমবার আমরা সোনারগাঁ থানায় গেলে একটা লিখিত অভিযোগ রাখা হয়। পরে আমাদের তালতলা ফাঁড়িতে পাঠানো হয়।’

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বুধবার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাদী ও তাঁর পরিবারের কাউকে তিনি বাড়িতে পাননি। ঘটনার মীমাংসার চেষ্টার বিষয়ে তাঁর জানা নেই।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ভোলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে তাঁরই এক প্রতিবেশী ও তার সহযোগী। নারায়ণগঞ্জে এক কিশোরী স্কুল থেকে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্তদের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে গেছে তার পরিবার। কুষ্টিয়ায় সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মাকে ধর্ষণের ঘটনায় দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ওই নারীকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

গৃহবধূ জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে প্রতিবেশী কামাল মাঝি ও তার এক সহযোগী সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রকাশ করলে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। স্বামী বাড়ির বাইরে থাকায় সকালে  গৃহবধূ তাঁর বাবার বাড়ির লোকজনকে জানান। 

হাসপাতালের চিকিৎসক তায়েবুর রহমান জানান, গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র দাবি করে অভিযুক্ত কামালের বাবা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ আছে। আমার ছেলে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এ সময় মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’

হুমকিতে এলাকাছাড়া স্কুলছাত্রীর পরিবার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নে গত সোমবার অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিশোরীর মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে পরিবারটি।

অভিযুক্তরা হলেন জামপুরের হাতুরাপাড়ার আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া ও ফয়েজ ভূঁইয়া। এলাকাবাসী জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কিশোরীর মাকে ভয় দেখাচ্ছে সাত্তার ও আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একটি দল। পরিবারটিকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন তারা। তবে আক্কাস আলী এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

স্কুলছাত্রীর ভগ্নিপতি অভিযোগ করেন, তালতলা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করার তিন দিন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মীমাংসার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কিছু হলে অবশ্যই তিনি জানতেন। এটি অপপ্রচার।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিনি সকালে (বুধবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাদী ও তার পরিবারের কাউকে তিনি পাননি। টাকার বিনিময়ে মীমাংসার বিষয়ে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে জানা নেই। 

সোনারগাঁ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভাবিকে ধর্ষণে দেবর কারাগারে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে দেড় বছরের শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বড় ভাই বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে গত সোমবার রাতে ছোট ভাই তার ভাবির কক্ষে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। গৃহবধূর বাবা মঙ্গলবার কুমারখালী থানায় মামলা করেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি গৃহবধূর স্বামী।

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ 

শেরপুরে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী দাদা শমেজ উদ্দিন বইট্টাকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৬ জুলাই অভিযুক্ত শমেজ উদ্দিন শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। 

[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ