জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে ধানমণ্ডির ৩ নম্বর সড়কের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় অধ্যাপক বারকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পট পরিবর্তনের পর চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে অ্যাননটেক্সের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক আবুল বারকাতকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল বারকাত জনতা ব্যাংকে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অ্যাননটেক্সের নামে তৈরি পোশাক কোম্পানির ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।
এই মামলায় তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এবং জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদকেও আসামি করা হয়। অ্যাননটেক্সের কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়।
জমি অতিমূল্যায়ন করে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে করা এই মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের তৎকালীন আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক বারকাতকে।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দুই মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিদায় নেন বারকাত। তার সময়ে এক সময় ভালো ব্যাংকের কাতারে থাকা জনতা ব্যাংক আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা/তারা/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।