আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগ পাওয়া সিভাসুর তিন কর্মকর্তার পদাবনতি
Published: 12th, July 2025 GMT
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) তিন কর্মকর্তার পদাবনতি হয়েছে। তাঁরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর বিষয়টি জানাজানি হয় আজ শনিবার রাতে। পদাবনতি হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন মো.
মো. তরিকুল ইসলামকে ম্যানেজার (ফার্ম) থেকে প্রোডাকশন অফিসার (লাইভস্টক) পদে, আদিত্য চৌধুরীকে জ্যেষ্ঠ ভেটেরিনারি সার্জন থেকে প্রোডাকশন অফিসার (পোলট্রি) এবং পাপিয়া সেনকে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে পদাবনতি করা হয়। বর্তমান পদগুলো নবম গ্রেডের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, তিন কর্মকর্তার কারও তা ছিল না। গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক চাপে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান মেনে সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাঁদের নিচের পদে পদাবনতি করা হয়েছে।
তবে পদাবনতির বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সব ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছিল। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এ জন্য ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের একান্ত সহকারী (পিএস) ছিলেন। সম্ভবত এই কারণে তাঁকে অবনমন করা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রেও একই কারণে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ন কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় বালুমহল দখল নিতে গুলি, আহত ১
পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহাল দখল নিতে আবার এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ও ইসলামপাড়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এলোপাতাড়ি গুলিতে সোহান মোল্লা নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোহান মোল্লা ঈশ্বরদীর মাজদিয়া চৌধুরীপাড়ার সাহাবউদ্দিন মোল্লার ছেলে। তাকে প্রথম ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ, বালু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনার ঈম্বরদী, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, দৌলতপুর, নাটোরের লালপুর, পাবনার ঈম্বরদীসহ বিভিন্ন এলাকার বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ করছেন লালপুরের সন্ত্রাসী বাহিনীখ্যাত ‘কাকন বাহিনী’। অধিকাংশ ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিলেও সাড়া ঘাটের বৈধ ইজারাদার থাকায় সেটি নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়। এই ঘাটে গত ৫ জুন গুলি চালায় কাকন বাহিনী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার সকালে আবারও গুলি চালায় এ বাহিনী। এ সময় ঘাস কাটতে যাওয়া সোহান হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।
ঈম্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।