চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) তিন কর্মকর্তার পদাবনতি হয়েছে। তাঁরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর বিষয়টি জানাজানি হয় আজ শনিবার রাতে। পদাবনতি হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন মো.

তরিকুল ইসলাম, আদিত্য চৌধুরী ও পাপিয়া সেন। তিনজনের মধ্যে প্রথম দুজন ষষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা। অন্যজনের পদ সপ্তম গ্রেডের।

মো. তরিকুল ইসলামকে ম্যানেজার (ফার্ম) থেকে প্রোডাকশন অফিসার (লাইভস্টক) পদে, আদিত্য চৌধুরীকে জ্যেষ্ঠ ভেটেরিনারি সার্জন থেকে প্রোডাকশন অফিসার (পোলট্রি) এবং পাপিয়া সেনকে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে পদাবনতি করা হয়। বর্তমান পদগুলো নবম গ্রেডের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, তিন কর্মকর্তার কারও তা ছিল না। গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক চাপে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান মেনে সিন্ডিকেট সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাঁদের নিচের পদে পদাবনতি করা হয়েছে।

তবে পদাবনতির বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সব ধরনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছিল। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এ জন্য ষষ্ঠ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের একান্ত সহকারী (পিএস) ছিলেন। সম্ভবত এই কারণে তাঁকে অবনমন করা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রেও একই কারণে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ন কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।

বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।

বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।

বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।

ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ