দিল্লিতে অবতরণের পরপরই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগুন
Published: 22nd, July 2025 GMT
আবারো দুর্ঘটনার কবলে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরই আগুন ধরে যায় বিমানের অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিটে (এপিইউ)। খবর এনডিটিভির।
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হংকং থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-৩১৫ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পরই বিমানের অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিটে আগুন লাগে। তবে এ ঘটনায় যাত্রী ও বিমানের কর্মীরা নিরাপদ আছেন।
বিমানের যাত্রীরা যখন নামছিলেন, তখনই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানানো হয়েছে। আগুন ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে এপিইউ বন্ধ করে দেয়, এবং যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে বিমান থেকে নেমে যান।
আরো পড়ুন:
ঢাকায় সরঞ্জামসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার-নার্স পাঠাচ্ছে ভারত: বিবিসি
৩৮ দিন পর ভারত ছাড়ল ব্রিটিশ ‘এফ-৩৫বি’ যুদ্ধবিমান
অগ্নিকাণ্ডে এয়ারবাস এ৩২১ মডেলের উক্ত বিমানটিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং তা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত গ্রাউন্ডেড রাখা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, কীভাবে আগুন লাগল, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবারও এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই ভারতের কোচি থেকে মুম্বাইয়ে অবতরণ করছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটি। তবে প্রবল বৃষ্টির মাঝে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাবশত রানওয়ে থেকে পিছলে যায় বিমানের চাকা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর আকার নেয় যে বিমানের তিনটি চাকা ফেটে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানের ইঞ্জিন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।