ফিলিপাইনের বিলিরান প্রভিন্স স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রথম আলোর কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে তাঁরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘এশিয়া প্যাসিফিক সামার প্রোগ্রাম’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এর আওতায় ফিলিপাইনের তিনজন শিক্ষক ও নয়জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশে এসেছেন। শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগে মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কোর্স করছেন। এর অংশ হিসেবে তাঁরা আজ প্রথম আলোর কার্যালয় পরিদর্শন করলেন।

পরিদর্শনের সময় ফিলিপাইনের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, সব সরকারের আমলেই প্রথম আলোকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সত্য ও নৈতিক সাংবাদিকতা করলে পাঠক সঙ্গে থাকে। এভাবেই নানা বাধা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রথম আলো।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদ শরিফ বলেন, সামনের দিনগুলোয় হয়তো সংবাদপত্রের পাঠক কমবে। এখন হয়তো বলা যাচ্ছে না সামনে কী প্রযুক্তি আসবে। তবে যে প্রযুক্তিই আসুক না কেন, সাংবাদিকতা টিকে থাকবে।

সংবাদপত্রকে ডিজিটালে রূপান্তর করা সহজ নয় উল্লেখ করে প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন বলেন, করোনার পর থেকে প্রথম আলো ডিজিটাল মাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম আলোর ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য থাকে। এ অবস্থায় প্রথম আলোর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো সত্য তথ্য নিশ্চিত করছে।

ফিলিপাইনের এই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে প্রথম আলোর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এর হেড অব মার্কেটিং আজওয়াজ খান। এ সময় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.

আবদুল কাবিল খান উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল র ক র য ফ ল প ইন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।

আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’

আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’

এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী