Prothomalo:
2025-09-18@12:01:02 GMT

বাঘময়না আবিষ্কার

Published: 23rd, July 2025 GMT

গ্রামের নাম বাঘময়না! প্রথম দিন এ কথা শুনে চমকে গেছিলাম। দূর অতীত থেকে একঝলক আলো ও সুগন্ধ এসে আমাকে আনমনা করেছিল। সেই থেকে হঠাৎ হঠাৎ কোনো অলস মুহূর্তে একটা আবেগ আমার বুকে ঘন হয়ে ওঠে। কত কত প্রজন্ম, শত শত বছর আর টলটলা পানির সীমাহীন ধু ধু পৃথিবী চোখের সামনে ভেসে থাকে! তার মধ্যখানে কালো একটা দ্বীপ। ছোট্ট গ্রাম বাঘময়না। তারও আগে হিজল-জারুল-বরুনের ঘন জঙ্গল ছিল আর ছিল সাপ-শিয়াল-মেছোবাঘের রাজত্ব। উজানের পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হলে উৎসব ভাতার মতো বন্যার তোড়ে ভেসে আসত ২/১টা টিক্কাপড়া বাঘ কিংবা সাত-আট হাত লম্বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার! 

গ্রামের এই–এই দানব টাইপ পুরুষেরা সড়কি-বল্লম আর বিষবাঁশের লাঠি নিয়ে বাঘের মুখোমুখি হতো। তখন কয়জন পুরুষ ছিল বাঘময়নাতে? ২০-২২টা পরিবার। গ্রামপ্রধান ছিলেন ময়না মিয়া। হাওরে শত শত বিঘা জমি। এই মোটা গোঁফের গোছা, গোল গোল লাল চোখ, গব্দাগাব্দা হাত-পায়ের মানুষটা জোরে ডাক মারলে আশপাশের বিড়াল-কুকুর ভয়ে দৌড় মারত আর সাহস-শক্তিতে তিনি ছিলেন মহাবীর রামচন্দ্র। তাঁর নেতৃত্বেই দিনের বেলায় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা বাঘকে ঘিরে ফেলা হতো কুড়ি মণ ওজন আর আধমাইল লম্বা দড়ির জাল দিয়ে। দিন-রাত পালা করে চলত পাহারা। এই–এই মরদ একেকজন। বোয়াল মাছের একবোল ভুনা সালুন দিয়ে দুই সের বিরন চালের ভাত কয়েক খাবলায় খেয়ে ফেলত। তাদের মাথার বাবরি, গোঁফের জৌলুশ আর হাঁকডাক শুনে বন্দী বাঘ জালের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। তখন সবাইকে পেছনে রেখে লাঠি নিয়ে বাঘের সামনে দাঁড়াতেন ময়না মিয়া।

ভূগোল ও ইতিহাসের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা দেখতে দেখতে বর্তমানের দিকে তাকিয়ে দেখি হাওর নাই; রানি মাছ-আইড় মাছ, বাঁশের মতো মোটা মোটা বাইন মাছ দেখি না কত বছর! ডাহুক-কুড়াপক্ষীরাও বিপন্ন। বিপুল জনসংখ্যার চাপে হাওর এখন বর্ষায় বড় বড় বিল আর শীতে সবুজ মাঠ! সিমেন্টে ঢালাই করা রাস্তা আর বিদ্যুতের তার শিরা-উপশিরার মতো ছড়িয়ে পড়েছে হাওরের অঙ্গে অঙ্গে। হাওর নামে সুনামগঞ্জে যে বিস্ময়কর ঐশ্বর্য ছিল, আজ লুপ্তপ্রায়! 

দীর্ঘশ্বাস শুনে কানের কাছে ভূগোলের শিক্ষক আমাদের প্রিয় বিমল স্যার যেন পড়াতে শুরু করেন, সৃষ্টির পর থেকেই পৃথিবীর ভূমিক্ষয় শুরু হয়েছে। নদী ভরাট হতে হতে নালা আর পর্বত গলতে গলতে টিলা এবং আধুনিক সভ্যতা সেই ধ্বংস কিংবা রূপান্তরকে করছে শুধু বেগবান। ক্ষয়-ধ্বংস-বিলয় ও সৃষ্টি রহস্যময়ী প্রকৃতির ধর্ম।

একদিন রানিগঞ্জের বাউল সাবুল শাহর কাছে কথাটা বললাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বাঘময়না দেখতে যাইবেন?’

‘হ;’ বলে আমি উৎসাহের চোখে বাউলের দিকে তাকাই।

‘আজকু মাছ মারা নাই, তাইলে চলুক্কা.

.. অই দিকে তিন মাইল দূরায় বাঘময়না।’ বাউল ভাই কুশিয়ারা নদীর ওপরের সেতু থেকে পশ্চিম দিকে হাত তুলে আমাকে দেখান। আমি শুধু দেখতে পাই মাইলের পর মাইল কালচে সবুজ গ্রাম। তাদের সবার মাথার ওপর চেপে বসে আছে মুঠোফোনের দুই-তিনটা আকাশসমান টাওয়ার।

মাত্র চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ! আমরা ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে হাঁটতে শুরু করি। রাস্তার দুই পাশেই হাওরের পানি, কচুরিপানা, হঠাৎ হঠাৎ বাড়িঘর, ঝোপঝাড়, খাল-ডোবা... হাঁটুপানিতে শিশুরা মাছ ধরছে। মাথার ওপর আষাঢ়ের মেঘ-রোদের ছলচাতুরি। বাতাসে পানি-সাপ-ব্যাঙ আর কলমিপাতার গন্ধ! মনে আজব ভাব। মাঝেমধ্যে আষাঢ় মাসের আমছি (কুয়াশার মতো মিহি বৃষ্টি) আসে। আমরা পাত্তা দিই না। আঁকাবাঁকা পাকা পথ। হঠাৎ হঠাৎ ইজিবাইক শাঁ করে আমাদের পেছনে ফেলে বাঘময়নার দিকে ছুটে যায়। জিনস প্যান্ট আর গেঞ্জি গায়ে কালো কালো পোলাপান আনাগোনা করে। কেউ কেউ হাঁ করে আমার গোঁফের দিকে তাকিয়ে থাকে। পরস্পর কানাকানি করে। আমি উপভোগ করি।

অধিকাংশই টিনশেড দালান। আম-জাম, হিজল-জারুল আর ইউক্যালিপ্টাসে ছাওয়া ছোট ছোট পাড়া, বাড়ির আশপাশে নোংরা–আবর্জনা, পলিথিন-প্লাস্টিকের জঞ্জাল পানিতে ভাসছে। এই সবের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ গোতুম মাছের মতো চকচকে কালো চামড়ার এক-দুইজন কালো শশী চোখে পড়ে। হাওরদেশে ফরসা মানুষ বিরল। রঙিন সালোয়ার-কামিজ, বাহারি ওড়না, ছোট-বড় সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। হাওর কই?

তবু নিঃস্ব-গরিবের মতো খাবলা খাবলা হাওর দূর থেকে আমাদের দিকে এতিম এতিম চোখে তাকিয়ে থাকে। আমি নাম জিজ্ঞাসা করি। বাউল বলেন, ‘মই হাওর।’

‘এর অর্থ কী?’ আমি বাউল ভাইয়ের কাছে জানতে চাই।

‘এর মানে খালা। খালা হাওর!’ সাবুল শাহ বলেন।

প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়া খালা হাওরের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলি, তাই সে এত ছোট!

হাওরের নাম ও অর্থ জেনে মনটা আমার শান্তিতে জুড়িয়ে যায় আর শ্রদ্ধায় ঝুকে পড়ে আমাদের প্রাচীন পিতাদের দিকে। তাঁদের সমাজপতিরা কত গভীর হৃদয় আর সুন্দর চিন্তার মানুষ ছিলেন। তাই তো হাওরের নাম রেখেছেন মায়ের বোন খালা!

সামনে পড়ে আরেকটা গ্রাম। একই দৃশ্য। তাই আমরা ডানে-বাঁয়ে তাকাই না। সোজা সামনের দিকে নজর রেখে হাঁটি আর টুকটাক বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে আবার একটা হাওরে এসে পড়ি। আকৃতি-প্রকৃতিতে সে এখনো শ্রদ্ধাজাগানিয়া। পড়ন্ত বিকেলের রোদে সাদা চকচকে পানি। জোরালো বাতাসে ঢেউ ফুঁসছে। দূরের গ্রামগুলো নারীর চোখের ভ্রুভঙ্গির মতো বাঁক-খাওয়া কালো। হাওয়ায় গতর ভাসিয়ে উড়ছে কিছু কিছু পাখি। পানির আঁশটে গন্ধে মন কেমন কেমন করে। আমি মনে মনে লম্বা লম্বা গলাওয়ালা সারসের ঝাঁক, বুকসাদা খয়েরি রঙের কালিম পাখি তালাশ করি। কিন্তু চোখে পড়ে শুধু কানিবগ!

বাউল ভাইকে হাওরের নাম জিজ্ঞাসা করি। তিনি একটু হেসে বলেন, ‘পেলপোড়া হাওর।’

‘পেলপোড়া মানে?’ আমি অবাক গলায় জানতে চাই।

‘অনেক বছর আগের কতা...’ সাবুল শাহ বলতে শুরু করেন, ‘বোরখেতে কাম করার পরে কিছু মানুষ শীতে কাঁপতে কাঁপতে আমনের শুকনা নাড়ায় আগুন দিল। আগুন পোহাইতে পোহাইতে এক ব্যাডার অন্ডকোষ পুইড়া গেল। সেই থাইকা এর নাম পেলপোড়া হাওর।’

চেয়ে দেখি, বাউল ভাই নির্বিকার। তাই আমি হেসে উঠতে গিয়েও চেপে যাই।

‘আগের দিনের পুরুষ মানুষরা আছিন সাহসী, শক্তিধর আর হাওরের বাতাসের মতন একরুখা।’ আমার মনের ভাব বুঝে সাবুল ভাই এই সব বলতে থাকেন।

আমরা হাঁটতেই থাকি। সেই-ই একই দৃশ্য! হৃদয় কী দেখতে চায় আর চোখ কী দেখায়! খালের ঘোলা পানিতে হাঁসেরা প্যাঁকপ্যাঁক করছে। একজন ঠেলা জাল দিয়ে পাশের খেতের হাঁটুপানিতে মাছ ধরছে। মাছ দেখার জন্য আমি রাস্তার পাশে দাঁড়াই। লোকটা জাল তুলে তন্ন তন্ন করে মাছ খোঁজে, তিঁতপুঁটি, দুধের শিশুর মতো ছোট ছোট টাকি মাছ, গোতুম মাছের পোনা ধরা পড়তে দেখে আমার দুঃখ লাগে।

আমার মন বুঝে বাউল ভাই মরমি গলায় বলতে থাকেন, ‘হেই-ই বাঘময়না কি আছে? কুশিয়ারা গাঙ্গেই খায়ালাইছে অর্ধেকটা। তারপরে ধরেন, মানুষ বাড়ছে, গ্রাম বাড়ছে... এইভাবে বাঘময়নারে ঘিরে পরত পরত আরও পাঁচ-ছয়টা গেরাম পত্তন হইছে।’

আমার উৎসাহ একেবারে মরে যায়। যেখানে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে, তার পাশে একটা বুড়ো জারুলগাছের নিচে আমরা বসে পড়ি। নদীর পার এদিকে ভাঙছেই। ওপারে জেগে ওঠা নতুন চরের পানিতে কয়েকটা বক সারি ধরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতীক্ষা! তিতিক্ষা! নিষ্ঠাবান তাপসদের সামনে দিয়ে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছেন আজব এক গুরু। কেউ দেখে না, কেউ বুঝতে চায় না।

‘সেই-ই ডাকাইত–ডাকাইত পুরুষ নাই, বাঘময়নাও নাই।’

বাউল ভাইয়ের ক্ষীণ দীর্ঘশ্বাস আমার কানে লাগে। আমি সময়ের দিকে শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকি আর যেন একটু একটু শুনতে পাই, পেলপোড়া হাওরের দিক থেকে ছুটে আসা বাতাসের সাথে রেশম–রেশম কান্নার মতো কিছু একটা বুঝি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে!

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব উল ভ ই আম দ র হ ওর র র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে জোট গঠনে সতর্ক থাকার পরামর্শ হেফাজত আমিরের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট গঠনের ক্ষেত্রে সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।

মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এমন কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার চিন্তা করা যাবে না, যাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস সম্পর্কে বুজুর্গানে দ্বীন ও পূর্বপুরুষেরা আগেই সতর্ক করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলন ২০২৫’–এ লিখিত বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী এ কথা বলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজত আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও অসুস্থ থাকায় তিনি কথা বলেননি। তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হক আজিজ।

ইসলামের মূলধারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে হেফাজত আমির বলেন, সহিহ আকিদার সব ইসলামি দলকে এক হওয়ার জন্য আগেও তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আহ্বানে সাড়া দেওয়ার মতো তেমন পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, একদিকে যেমন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র চলছে, অন্যদিকে তেমনি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বহু রকম চক্রান্ত লক্ষ করা যাচ্ছে। গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তা তিনি কল্পনাও করেননি।

অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে বাবুনগরী বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের চুক্তি দেশের স্বাধীনতার অখণ্ডতার জন্য এবং ধর্মীয় কৃষ্টির জন্য এক অশনিসংকেত। এ চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা খলিল আহমদ কুরাইশী। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, সামনে কালো তুফান দেখা যাচ্ছে। কালো তুফানের সঙ্গে মোলাকাত নয়, মোকাবিলা করতে হবে। জনগণকে ওলামাদের নেতৃত্ব কবুল করতে হবে। তখনই তুফানকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, যারা ফ্যাসিবাদী আমলে পাখা দিয়ে নৌকাকে বাতাস করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না। জুলাই আন্দোলন ছিল ভোটের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য। সামনে নির্বাচন। সেই নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। সেই পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ইসলামের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আলেমদের মতামত উপেক্ষা করলে হাসিনার মতো পরিণতি হবে।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। এ সময় আরও বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আলেম এবং ওলামারা।

১৫ দফা প্রস্তাবনা

সম্মেলনে জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। প্রস্তাবনা পাঠ করেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।

১৫ দফার মধ্যে আছে—ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চুক্তি বাতিল করা, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা, ঘোষিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির মহড়া বন্ধ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; বিতর্কিত নারী কমিশনের সুপারিশ বাতিল ও শরিয়ার সীমারেখার আলোকে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ