ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচিয়ে নিজে চিরবিদায় নেওয়া সাহসী শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নীলফামারীর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।

বুধবার দুপুরে জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ার কবরস্থানে মাহরীন চৌধুরীর কবরে ফুল দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার (এসপি) এ এফ এম তারিক হোসেন খান।

আরও পড়ুন২৮ জুলাই বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন শিক্ষক মাহরীন, আজ ফিরলেন লাশ হয়ে২২ জুলাই ২০২৫মাহরীন চৌধুরী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসীসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১৭ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের (প্রথম) ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালতে রায় ঘোষণার সময় ৩১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। মামুনুর রশীদ নামের এক আসামি পলাতক। তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার সাইফুল আলম, নজরুল আলম, সদরুল আলম, সিরাজ উদ্দিন, জামাল মিয়া, শাহিন উদ্দিন, আবদুল জলিল ও আনোয়ার হোসাইন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইলিয়াছ আলী, আবদুন নুর, জয়নাল আবেদীন, আশিক উদ্দিন, আশকির আলী, অলিদ মিয়া ওরফে ফরিদ মিয়া ও আকবর মিয়া। তাঁদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে লুৎফুর রহমান, ময়ূর মিয়া, মামুনুর রশিদ, কাউসার রশিদ, দিলাফর আলী, পারভেজ মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, আজাদ মিয়া, মুক্তার আলী, আবদুর রকিব, আঙ্গুর আলী, জাবেদ ইসলাম, শফিক উদ্দিন, মখলিস মিয়া, ফিরোজ আলী ও ফখর উদ্দিনকে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়,  ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে যান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলমসহ তাঁর লোকজন। এতে বাধা দেন নজির উদ্দিন, তাঁর চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়া। এ সময় বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলমের বন্দুক দিয়ে গুলি করলে শাহজালাল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল মিয়া নিহত হয়। এ ঘটনায় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন আহত হন।

ওই ঘটনায় নিহত সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ