বাংলাদেশের বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
Published: 24th, July 2025 GMT
প্রতিবছর ২৪ জুলাই সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা দিবস পালিত হয়। এটি একটি প্রতীকী দিন। বাংলাদেশেও আমরা ২৪ জুলাই দিনটি পালন করি। বাংলাদেশে বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা বা কোম্পানিগুলোর আগমন ঘটে ১৯৮৮-১৯৯০ সালের মধ্যে, যখন প্রথম কয়েকটি কোম্পানি ছোট পরিসরে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলো ছিল সিকিউরেক্স, অতন্দ্র ও নিশ্চিত, শিল্ডস এবং আরও কিছু। সিকিউরেক্সের প্রতিষ্ঠাতা গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাহের কুদ্দুস (অব.
ব্যবসাটি গতি পেতে ও বিকশিত হতে সময় নিয়েছিল। তবে ১৯৯৪-৯৫ সালের মধ্যে আরও অনেক কোম্পানি, বিশেষ করে ঢাকায়, তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলার পর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য স্থানে নিরাপত্তা ব্যবসা এক বিশাল উল্লম্ফন লাভ করে। বিশেষ উগ্রবাদী ও চরমপন্থীদের হুমকিকে তখন সর্বোচ্চ উদ্বেগ ও ভীতির সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছিল।
সেই সময়ে বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার জন্য প্রচুরসংখ্যক বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি জন্ম নেয়। ‘দারোয়ান’-এর পুরোনো ধারণা রাতারাতি পরিবর্তিত হয়ে যায়; উর্দি পরা নিরাপত্তাকর্মীরা কোম্পানির ব্যানারে সংগঠিত হতে শুরু করেন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন উচ্চপদস্থ সাবেক সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁরা এই ব্যবসাকে একটি পেশাদার, সুসংগঠিত শিল্পে পরিণত করেন।
আইনি কাঠামো ও কাজের পরিধিএখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০০৬ সালে সরকার বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা আইন-২০০৬ প্রণয়ন করে, যা শিল্পের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে আসে। এই ‘আইন’-এর মাধ্যমে বেসরকারি নিরাপত্তা শিল্প দেশব্যাপী একটি অপরিহার্য পরিষেবা হিসেবে সুপরিচিত ও স্বীকৃত হয় এবং দেশের নিয়মিত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
আজ পর্যন্ত সারা দেশে ৮০০টিরও বেশি নিরাপত্তা কোম্পানি কাজ করছে। এই কোম্পানিগুলো ১২ লাখের বেশি কর্মীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে দূতাবাস, হাইকমিশন, জাতিসংঘের সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, সব ধরনের শিল্প, পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস বা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং আরও অনেকে। বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো কী করছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের নগদ বহনকারী যানবাহনের মাধ্যমে স্থানান্তরিত বা পরিবহন করা হয়। দেশের ২০ হাজারের বেশি এটিএম অপারেশন বন্ধ হয়ে যাবে যদি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
গত বছরগুলোয় বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রমের পরিধি বাড়িয়েছে এবং বহুমুখী করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তদন্ত পরিষেবা, নির্বাহী বা ঘনিষ্ঠ সুরক্ষা পরিষেবা, যথাযথ যাচাইকরণ, জরুরি উচ্ছেদ, সংকটপূর্ণ বা দূরবর্তী অঞ্চলের অপারেশন, ইভেন্ট নিরাপত্তা, বিরোধ নিষ্পত্তি; লজিস্টিক্যাল সহায়তা, ইলেকট্রনিক নিরাপত্তা, মেরিটাইম নিরাপত্তা, ডগ স্কোয়াড সহায়তা (কে–নাইন) এবং অন্যান্য বিবিধ পরিষেবা। আমরা বেশ কয়েকটি বিমা কোম্পানির জন্য মৃত্যুদাবি তদন্ত এবং চিকিৎসা/হাসপাতালে ভর্তির সনদও দিয়েছি।
দুর্বলতা ও স্বীকৃতিহীনতাবাংলাদেশে নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোর আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য সরকারের কাছ থেকে অত্যন্ত সক্রিয় সাহায্য ও সহায়তা প্রয়োজন। আমাদের কর্মীদের ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো সংস্থান প্রায় নেই বললেই চলে। যেমনটি আপনি দেখেছেন, এ খাতে নিয়োজিত ১২ লাখের বেশি মানুষ নিয়মিত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় পরিপূরক হিসেবে একটি দারুণ কাজ করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের অবদানের তেমন কোনো ভালো উপলব্ধি বা স্বীকৃতি নেই।
এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবার কিছু দুর্বলতা ও নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করা যাক। আমরা বলতে চাই, দেশ, সমাজ ও সাধারণ মানুষের জন্য বিশাল অবদান রাখা সত্ত্বেও বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা সামাজিকভাবে এখনো খুব বেশি সম্মানিত নয়। এর প্রধান কারণ হলো এই পরিষেবার প্রতি আকর্ষণ কম বা নেই, কারণ বাংলাদেশে এটি সাধারণত একটি খুব কম বেতনের পেশা। গ্রামের একটি মেয়ে একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে বিয়ে করতে বা তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইবে না। কারণ, সে জানে, ‘ছেলেটি’ গরিব এবং সমাজের অন্যান্য উর্দিধারী পরিষেবার মতো তার কোনো ‘মর্যাদা’ নেই।
দেশে এমন বড় কোম্পানি, ব্যাংক কনগ্লোমারেট, বড় সিএসআর পারফরমার রয়েছে, যারা ৮ ঘণ্টার মাসিক কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি গার্ডকে সর্বনিম্ন মজুরি বোর্ড (এমডব্লিউবি) অনুযায়ী ৮ হাজার টাকা প্রদান করে। এর অর্থ, একজন গার্ডের জন্য পুরো মাসের জন্য ৬০ মার্কিন ডলারের বেশি। এত কম পারিশ্রমিকে আপনি কীভাবে এই খাত থেকে ন্যূনতম ভালো পরিষেবা আশা করতে পারেন? এটি আসলে একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি। দুঃখজনকভাবে নিরাপত্তা কোম্পানি সমিতিগুলো খুব কার্যকর হতে পারেনি, বিজিএমইএ এবং দেশের অন্যান্য সমিতির মতো ভালো দর-কষাকষি করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো অগ্রগতি সাধন করার জন্য।
করোনাকালে সাহসী ভূমিকাকোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই দরিদ্র নিরাপত্তাকর্মীদের অন্যান্য ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’র মতো অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ দেখা গেছে, কিন্তু তাঁদের জন্য কোনো ‘স্যালুট-তালি’ বা প্রণোদনা ছিল না। চিকিৎসক, আইনপ্রয়োগকারী, পোশাককর্মী এবং আরও অসংখ্য শ্রেণির কর্মীদের মতো নন, নিরাপত্তারক্ষীরা সত্যিই অবহেলিত রয়ে গেছেন। প্রণোদনার কথা আর কী বলব, আমরা আমাদের গার্ডদের পর্যাপ্তসংখ্যক পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদিও সরবরাহ করতে পারিনি। কারণ, এগুলোর ক্রমাগত বা বারবার ইস্যু করার খরচ বহন করা অসম্ভব। বিধিনিষেধ এবং গণপরিবহন না থাকায় এই গার্ডদের জীবন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছিল।
বর্ণনার শুরুতে ভালো দিকগুলো এবং শেষে নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করা সত্ত্বেও বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা একটি ব্যবসা হিসেবে টিকে আছে। উন্নত বিশ্বে এটি একটি বড় ব্যবসা। রাজস্ব-লাভ, সব মিলিয়ে একটি যথেষ্ট বড় উদ্যোগ। অনেক কোম্পানি মিলিয়ন–বিলিয়ন ডলার আয় করে।
আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও পরিস্থিতি উন্নত হবে এবং আমরা তখন আরও ভালো অনুভব করব।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরীফ আজিজ বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এলিট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র অন য ন য পর ষ ব র ব সরক র ক জ কর আম দ র র জন য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
দোষ বিয়ারিং প্যাডের নয়, যারা লাগিয়েছে কিংবা বুঝে নিয়েছে, তাদের: ডিএমটিসিএল এমডি
মেট্রোরেল চালুর আগে নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা (সেফটি অডিট) ছাড়াই যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকার মেট্রোরেলের। এর মধ্যে বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারী মারা গেছেন। এবার নতুন করে নিরাপত্তার নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর আজ সোমবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের আগে সেফটি অডিট হয়নি। তাই সেফটি অডিট করতে চাইছি। যত দ্রুত করা যায়, সেটা আমরা করব। থার্ড পার্টিকে (তৃতীয় পক্ষ) দিয়ে এই অডিট করানো হবে। ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়েই করানো হবে। আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগির টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় যাব।’
এক বছর আগে ঢাকার মেট্রোরেলের স্তম্ভের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার পর গত ২৬ অক্টোবর ফার্মগেটে আরেকটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় শাহবাগ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল।
বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার পর এগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস নয়। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে, ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে, সেটা বলতে পারি, ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটা কারণেও হতে পারে।’
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের নয়। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, সেটি বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কি না? যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল, সে বুঝে নিয়েছে কি না, সেগুলো এখন দেখতে হবে।’
আরও পড়ুনবৃষ্টির পানি ঢোকে, এসি বিকল হয়, মেট্রোরেল ব্যবস্থায় ৪৫ সমস্যা০২ নভেম্বর ২০২৫এসব কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য হাজার কোটি টাকায় বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করা আছে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেবেন পরামর্শক। আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পরামর্শকদের। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে, সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল, ওই অংশের ত্রুটি সারিয়ে দেওয়ার সময়সীমা (ডিফেক্ট লায়াবেলিটি) গত জুন পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ডিএমটিসিএল তাদের এই সময়সীমা গ্রহণ করেনি। কারণ, এখনো অনেক বড় ত্রুটি রয়ে গেছে। যত সমস্যা আছে, এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে। এ জন্য ‘ডিফেক্ট লায়াবেলিটি’ দুই বছর বাড়ানোর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের সব কটি পিলার পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, এর আগে পুরো পথের বিয়ারিং প্যাডের ছবি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছে। এরপর কর্মকর্তারা সরেজমিনে নিরীক্ষা করেছেন। যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। ডিএমটিসিএলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।
আরও পড়ুনমেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড কী, খুলে পড়ার কারণ কী হতে পারে২৬ অক্টোবর ২০২৫চার বছর আগে তাড়াহুড়া করে ঢাকার মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল দাবি করে ফারুক আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ছয় থেকে নয় মাসের পরীক্ষামূলক চলাচল নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল। তিন বছরে মেট্রোরেল চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রোরেল সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সব ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার পর ছয় থেকে সাত বছর লাগে। এর আগে প্রকল্প প্রণয়ন, সম্ভাব্যতা যাচাই ও অন্যান্য প্রস্তুতিতে চলে যায় তিন বছর।
২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা আগে নেওয়া হয়েছিল, তা কিসের ভিত্তিতে হয়েছে, তা তার বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেন ডিএমটিসিএলের এমডি।
নতুন মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প তাহলে মুখ থুবড়ে পড়ছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েনি। মেট্রোরেল আমাদের লাগবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। সরকারের উদ্দেশ্য হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নত মানের মেট্রোরেল নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রোরেল আমাদের করতেই হবে; তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’
আরও পড়ুনবিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে একজন নিহত, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ২৬ অক্টোবর ২০২৫