হিন্দি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় কমেডিয়ান জন প্রকাশ রাও জানুমালা। সিনেমাপ্রেমীরা যাকে জনি লিভার নামেই চেনেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের বাবা জনি। মেয়ের নাম জেমি লিভার ও ছেলের নাম জেসি লিভার। 

বাবার পথ অনুসরণ করে অভিনয়ে নাম লেখিয়েছেন জেমি লিভার। বেশ কটি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কয়েক দিন আগে জুম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শৈশবের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জেমি। 

জেমি লিভার বলেন, “পুরুষেরা খুব সাধারণভাবে এমন সব কাজ করেন, যা নারীদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে। শৈশবে স্কুলের বাসে যাতায়াত করতাম। সেই বাসের কনডাক্টর বাচ্চাদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করতেন। খারাপভাবে স্পর্শ করতেন। আমার সঙ্গেও প্রায় এমনটা ঘটতে চলেছিল।” 

আরো পড়ুন:

দাম বাড়ালেন জাহ্নবী!

বাবা আমাকে মূল্যহীন ভাবতেন, প্রচণ্ড মারধর করতেন: রবি

নিজের সঙ্গে ঘটা ঘটনার বিষয়ে জেমি বলেন, “শিশুরা তো বুঝতেই পারে না, তাদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটছে। আমি বুঝেই উঠতে পারিনি তখন আমার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল। ওই ব্যক্তি কেন এভাবে আমাকে আঁকড়ে ধরেছিল। কেন নিজের দিকে টেনে নিয়েছিল। তখন তো বুঝতেই পারিনি।” 

এই ঘটনাগুলো জেমির কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এই ঘটনাগুলো দুঃস্বপ্নের মতো। পরে বুঝতে পারি, সেই স্পর্শগুলোর কী অর্থ। স্কুল বাস তো শিশুদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হওয়ার কথা। নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব স্কুল বাসের।” 

বাবার মতো মেয়ে জেমিও দারুণ মেধাবী। ৩৬ বছর বয়সী জেমি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। যখন পেশা বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন মোটা বেতনে কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি খোঁজেননি। বরং বাবার মতো কৌতুককেই নিজের পরিচয় আর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। 

তারকাসন্তান হিসেবে সুবিধা নেননি জেমি। বরং নিজস্বতা দিয়ে ভক্তদের মন জয় করেছেন। গায়ের রং শ্যামবর্ণের হলেও নিজের মাধুর্য দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। ২০১৫ সালে ‘কিস কিস কো পেয়ার কারু’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে জেমির। এরপর ‘হাউজফুল ফোর’, ‘ভূত পুলিশ’, ‘ইয়াত্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন জেমি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে নিহত খুবি শিক্ষার্থী রিংকীর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সেশনাল ট্যুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে এদিন সকল ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সেশনাল ট্যুরের সময় রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকী নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত রুবিনা আফসানা রিংকির মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়ি গাইবান্ধায় নেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হচ্ছে ।”

তিনি বলেন, “এই শোকাবহ ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে, সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত আছেন। তিনি নিজে এবং সহকারী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা খাগড়াছড়ি রওনা হয়েছেন।”

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে নিহত শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। 

এদিকে, সাজেকে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সেশনাল ট্যুর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার কাকলি রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ ৪র্থ বর্ষ টার্ম-২ এর সেশনাল ট্যুরে অংশগ্রহণরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল দূরপাল্লার সেশনাল ট্যুর স্থগিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাজেকের হাউসপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রুবিনা আফসানা রিংকী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা সবাই একই বিভাগের শিক্ষার্থী।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ