রংপুরে ব্যস্ত সড়কে ধানের চারা রোপণ
Published: 25th, July 2025 GMT
রংপুর নগরের জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে মাহীগঞ্জ সাতমাথা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে, খোয়া বের হয়েছে, স্থানে স্থানে বড় গর্ত—বৃষ্টি হলেই জমে কাদা। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে আবারও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাতমাথা রেলগেটসংলগ্ন ভাঙা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ ও রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো হয়।
সাতমাথার বাসিন্দা রাজিমুজ্জামান বলেন, ‘বেহাল সড়ক নিয়ে আমরা বারবার সিটির কাছে ধরনা দিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। এর আগে আমরা সিটিকে মৃত ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজাও করেছি। আজ ধানের চারা রোপণ করে বোঝাতে চেয়েছি—এই রাস্তায় গাড়ি চলে না, ধান চাষ সম্ভব।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আসিফ মাহমুদ, মো.
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক বছর ধরে সড়ক খানাখন্দে ভরা থাকলেও সিটি করপোরেশন সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এলাকাবাসী বলেন, লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁরা শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কারকাজ শুরু না হলে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করবেন। এমনকি রংপুর-ঢাকা রেলপথও অবরোধ করা হবে।
এর আগে ২০ জুলাই রংপুর সিটি করপোরেশনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে প্রতীকী গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করেন এই এলাকার বাসিন্দারা। জানতে চাইলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতিমা বলেন, আগামী সপ্তাহে সড়কের গর্তগুলোতে জরুরি মেরামতকাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পুনর্নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স তম থ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী