‘আমার বুকের মানিককে কিভাবে কবরে রেখে যাব’
Published: 25th, July 2025 GMT
‘আমার বুকের মানিককে কীভাবে আমি কবরে রেখে যাব। তোমরা আমার মানিককে এনে দাও। আমি কাকে নিয়ে ছুটির দিনে ঘুরতে যাব? কাকে আমি প্রতিদিন স্কুলে আনতে যাব?’
শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন ইসমাইল হোসেন। গত সোমবার রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাণ হারায় তাঁর মেয়ে তাসনিম আফরোজ আইমান (১০)। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সে। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাসনিমের মরদেহ আনা হয় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে। লাশবাহী গাড়ি গ্রামে এলে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে যায়। প্রিয় সন্তানের মৃত্যুতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন বাবা ইসমাইল হোসেন ও মা আয়েশা আক্তার। তাঁদের আহাজারিতে চোখ ভিজে উঠছিল আশপাশে থাকা স্বজনদেরও।
বাবার সঙ্গে তাসনিমের এই ছবি কেবলই স্মৃতি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাতায়াত নিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ রোববার কার্যকর হওয়া এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাত্রীদের বিদায় কিংবা স্বাগত জানানোর সময় বের হওয়ার গাড়ির পথ (ডিপারচার ড্রাইভওয়ে) ও আগমনের ছাউনির (অ্যারাইভাল ক্যানোপি) এলাকায় একজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে এক খুদে বার্তায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত জানায়।
বার্তায় বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়াড্রন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ হবে। তিনি যাত্রীদের স্বজনদের প্রতি সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের আহ্বান জানান এবং সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বছরে গড়ে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। এই বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ১৪০ থেকে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। যাত্রীদের স্বজনদের ভিড় ও যানজট নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নির্দেশনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও তদারকি আরও জোরদার করা হয়েছে।