সিনেমার কিংবদন্তি ‘অ্যাকশন হিরো’ জসীম। এক সময় পর্দায় ছিলেন দুর্জয় এক নায়ক। সোমবার (২৮ জুলাই) তার পাশে চিরনিদ্রায় ঘুমালেন তার ছেলে এ কে রাতুল। 

রক ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দ প্রকৌশলী এ কে রাতুল গতকাল বিকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সোমবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে—তারই বাবার কবরে, চিরচেনা আশ্রয়ে। 

বাবা-ভাইয়ের পাশে এই বিদায় যেন কেবল একটি সমাধিস্থল নয়, একটি আবেগের পুনর্মিলনও। ভাইয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন দুই ভাই—এ কে সামী ও এ কে রাহুল। বাবার কবরে ভাইকে শোয়ানোর পর সামাজিক মাধ্যমে শোকাবেগ ছুঁয়ে গেল হাজারো হৃদয়। 

আরো পড়ুন:

নীনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে কী বলেছিলেন ক্রিকেটার ভিভ?

বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর

ছোট ভাই এ কে সামী লিখেছেন, “আমি মাত্রই ছোট ভাইটাকে সমাহিত করে এলাম।” আর বড় ভাই এ কে রাহুলের পোস্ট আরো নীরব, কিন্তু আরো গভীর। বাবার কোলে শিশু রাতুলের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “একসঙ্গে থেকো।” এই দুটি শব্দে যেন অনন্তকালের জন্য পিতা-পুত্রের পুনর্মিলনের অশ্রুসিক্ত ইচ্ছা উচ্চারিত হলো। 

‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভক্তদের জন্য রাতুল ছিলেন সৃষ্টিশীলতা ও নীরব প্রতিভার এক নাম। ২০১৪ সালের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’, ২০১৭ সালে ‘টু’ এবং ২০২১ সালের ইপি ‘এইটিন’—সবকিছুতেই ছিল তার নিঃশব্দ, কিন্তু অপরিহার্য ছোঁয়া। শুধু নিজ ব্যান্ড নয়, অর্থহীনের ‘ফিনিক্সের ডায়েরি-১’–এর সাউন্ড ডিজাইনেও ছিল তার অবদান। 

জসীমের তিন ছেলের মধ্যে রাতুল ছিলেন মেজ। বড় ভাই সামী ‘ওন্ড’-এর ড্রামার, আর ছোট ভাই রাহুল যুক্ত ছিলেন ব্যান্ড ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’তে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ