প্রতিভা সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে স্কুলব্যাগ ও বৃক্ষ বিতরণ
Published: 28th, July 2025 GMT
প্রতিভা সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে ৯৫নং আদমজী নগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে স্কুলব্যাগ ও বৃক্ষ বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকালে প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান এ্যাড. হাবিবুর রহমান মাসুমের সভাপতিত্বে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে স্কুলব্যাগ ও বৃক্ষ বিতরণ করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জি.
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, ৯৫নং আদমজী নগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাজিদা বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাসাস এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ আলী, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, সিদ্ধিগঞ্জ থানা তরুণ দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল হক রানা, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধক্ষ্য কামাল হোসেন,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তরুণ দলের সদস্য সচিব মমিন হোসেন মোহন, শাহ আলম, কালাম, আঃ রাহিম প্রমূখ।
স্কুলব্যাগ ও বৃক্ষ বিতরণের পূর্বে জি. এম. সাদরিল বলেন, এই যে বাচ্চারা ওদের যে বয়স, এই বয়স থেকে ওরা জীবনের প্রথম দাপ শুরু করছে। যারা বাবা, মা আছেন আপনারা সন্তানের প্রতি বেশি খেয়াল রাখবেন।
অনেক মা,বাবা আছেন মনে করেন যে বাচ্চাকে স্কুলে দিলাম, পড়াশুনা করলো স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা দেখবে তা কিন্তু ঠিক না। আপনার সন্তান যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে তখন খোজখবর নিবেন ওরা ঠিক মতো লেখাপড়া করেছে কিনা, ওরা কার সাথে মিশে সেই দিকে খেয়ার রাখবেন।
মোবাইল ফোন একটা ক্ষতিকারক জিনিস মোবাইল ফোন থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখতে হবে। মোবাইল ফোন ব্যবহারে যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে।
অনেকে আছেন বাচ্চাকে মোবাইল ফোন দিয়ে বাসার কাজ করছেন, কিন্তুু আপনার বাচ্চা মোবাইল ফোনে ভালো কাজে ব্যবহার করছে, না খারাপ কাজে ব্যবহার করছে সেই দিকে খেয়াল রাখছেন না,এটা কিন্তুু ঠিক না।
খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যদি মোবাইল ফোন ভালো কাজে ব্যবহার করে তাহলে সে ভালো থাকবে, আর যদি খারাপ কাজে ব্যবহার করে তাহলে কিন্তুু তার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।
পিতা-মাতার ওপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে সন্তনকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। আপনার সন্তান হচ্ছে আপনার মূল্যবান সম্পদ, আপনার ভবিষ্যৎ, সন্তানদের এমন ভাবে মানুষ করবেন যেন সে বয়সকালে আপনাদের খেয়াল রাখে।
সভাপতির বক্তব্য প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান এ্যাডঃ হাবিবুর রহমান মাসুম বলেন, আমরা সবসময় এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনারা দেখেছেন আমরা বৃক্ষরোপন করেছি, এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি, বিনামূল্যে সুন্নতে খতনা, ৭নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননাসহ আরো অনেক কাজ করেছে। আমরা সবসময় আমাদের প্রতিভা সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের কাজ করে যাব।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব যবহ র কর ব তরণ কর ব এনপ র ক জ কর আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া
চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’
চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।