স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনের (৫৭) সংসার। অভাবের সংসারে পড়াশোনা হয়নি তাঁর। সম্পদ বলতে বাবার কাছ থেকে পাওয়া ভিটেমাটি ও বাড়ির পাশের বাজারে ছোট্ট একটি দোকানঘর। সেই দোকানঘরও বন্ধক দেওয়া। গতকাল বুধবার নিজের সেই বন্ধকি দোকানের ভাড়া তুলতে গিয়ে খুন হন জাহাঙ্গীর হোসেন।

জাহাঙ্গীরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সালমদী নয়াপাড়া গ্রামে। তিনি মাহমুদপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাহাঙ্গীরের স্বজনেরা বলেন, গত বছরের আগস্টে মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকায় দোকানঘরটি ভাড়া নিয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় গড়ে তোলেন। ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে গতকাল সেই কার্যালয়ের ভেতরে মারধর করে জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গেলে প্রতিবেশী ও স্বজনদের ভিড় দেখা যায়। জাহাঙ্গীরের বৃদ্ধ মা আয়শা বেগম পাগলপ্রায় হয়ে বিড়বিড় করছিলেন। মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে আসা জাহাঙ্গীরের ছোট বোন রেহানা ভাইয়ের শোকে বিলাপ করছেন।

বাড়ির ভেতরে টিনের চৌচালা ঘর। ঘরে বড় মেয়ে লতিফা আক্তার ও ছোট মেয়ে আমিনা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে নিজের দুঃখের জীবন নিয়ে আক্ষেপ করছিলেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সেলিনা আক্তার।

সেলিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, জীবনে অভাব ছাড়া কখনো সুখের মুখ দেখেননি তাঁর স্বামী। কৃষক বাবার ঘরে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। বিয়ের পর থেকে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালিয়েছেন। অভাবের কারণে ছেলেমেয়েদেরও পড়াশোনা করাতে পারেননি। এর মধ্যে কয়েক বছর হলো হৃদ্‌রোগ আর কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর থেকে বাড়ির পাশের সালমদী বাজারে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দোকানঘরে মুদি মালামাল বেচাকেনা করেছেন। এভাবে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বছরখানেক আগে ছোট ছেলেকে অবৈধপথে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে গিয়ে দোকানের পুঁজি খুইয়েছেন। পাশের গ্রামের এক নারীর কাছে পুরো দোকানঘর বন্ধক রেখেছেন লাখ টাকায়। সেই দোকানঘরই আবার বছরে ১৬ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন আবার মুদি মালামাল বিক্রির আশায়। কিন্তু পুঁজি না থাকায় গত বছরের আগস্টে স্থানীয় বিএনপি নেতা তোতা মিয়ার কাছে ভাড়া দেন।

সেলিনা বলেন, ‘পোলারে বিদেশ পাঠাইতে যাইয়া দোকান বন্ধক ছাড়াও আরও ৪ লাখ টাকা ঋণ করছি। পোলায় বিদেশ গিয়া অবৈধ। কাম-কাইজ পায় না। ওনার (জাহাঙ্গীর) ওষুধ-পানি লাগে। ঋণের চাপ। বড় পোলারে লইয়া খেতখামারে কাম কইরা কোনো রকম সংসার চলতেছিল। দোকান বন্ধক দেওয়ার পর খাই না খাই বছরে ১৬ হাজার টেকা দোকান ভাড়া দিতে হয়। কিন্তু আমরা যাগোর কাছে দোকান ভাড়া দিসি, ওনারা কোনো টেকা দিতেছিল না। বাধ্য হইয়া তিন মাস ধইরা ছোড পোলা বিদেশ থেইকা বলতেছিল, পোলায় কিছু টাকা ব্যবস্থা কইরা দিব। হেই টেকায় মাল তুইলা যেন দোকানডা আমরা নিজেরাই চালাই। আমরা তো জানতাম না, এই দোকান ফেরত চাইতে গেলে ওরা আমার স্বামীরে এমনে পিডায়া মাইরা ফেলব।’

জাহাঙ্গীরের বড় ছেলে মো.

রাসেল ভূঁইয়া বলেন, ‘ভাড়া না পাওয়ায় গত তিন মাস ধইরা আমরা তোতা মিয়ারে দোকান ছাড়তে বলতাছিলাম। উনি কোনোভাবেই টাকা দিতেছিল না। গতকাল (বুধবার) সকালে আমি আর আব্বা দোকানে যাইয়া শাটারে কাম করাইতেছিলাম। আমরা চাইতেছিলাম, দোকানটা ঠিক কইরা নিজেরাই চালামু। আব্বারে রাইখা আমি বাড়ি আইসা পড়ি। ঘণ্টাখানেক পরে শুনি, তোতা মিয়া আর ওনার ভাই-ভাতিজারা মিল্লা আব্বারে পার্টি অফিসের শাটার ফালাইয়া পিটাইছে। আমি দৌড়াইয়া যাইয়া শুনি, তোতা মিয়ার লোকজন আব্বারে নিয়া হাসপাতালে গেছে। তারপর হাসপাতাল যাইয়া আব্বার লাশ দেখতে পাই।’

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রাসেল বলেন, ‘আব্বা শাটারের কাজ করার সময় তোতা মিয়া রিকশায় কইরা সেখানে আসে। তারপর উনি আব্বারে থাপ্পড় মারে। এডা নিয়া আব্বা প্রতিবাদ করলে ওনার ভাই-ভাতিজারা আব্বারে পার্টি অফিসে আটকায়া পিডায়া মাইরা ফেলছে।’ যদিও ঘটনার পর তোতা মিয়ার ছেলে খোকন প্রধান দাবি করেন, জাহাঙ্গীরকে মারধর করা হয়নি। তোতা মিয়ার সঙ্গে হাতাহাতির সময় তিনি আঘাতে মারা যান।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল সালমদী বাজারে গেলে বিএনপির কার্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধ ছিল আশপাশের দোকানপাটও। দিনে-দুপুরে হত্যার ঘটনাটি ঘটলেও স্থানীয় লোকজন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। কার্যালয়ের ৫০ গজ দূরের একটি মার্কেটের তত্বাবধায়ক আপন মিয়া মার্কেটের সামনের সড়ক পরিষ্কার করছিলেন। ঘটনার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে প্রথমে কথা বলতে চাননি। পরে তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীর ভাই নিজেও বিএনপির লোক ছিল। ইদানীং পার্টি অফিসে আসতে দেখতাম। গতকাল হঠাৎ কইরাই চিল্লাচিল্লি শুনলাম। পরে দেখলাম ওনারে ধইরা রাস্তার হেপার (ওপারে) সুজন ডাক্তারের দোকানে নিয়া গেল।’

সালমদী বাজারের মধ্যে পল্লি চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম ওরফে সুজনের মদিনা ফার্মেসি। বৃহস্পতিবার ফার্মেসিটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মুঠোফোনে সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি ইজিবাইকে করে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আসা হইসিল। রাস্তায় দাঁড়িয়েই আমি তাঁর পালস চেক করি। তখনো তাঁর হার্টবিট ছিল। কিন্তু একেবারেই নাজুক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলি।’

ফার্মেসি লাগোয়া খলিলুর রহমানের চায়ের দোকানে বসে স্থানীয় লোকজন জাহাঙ্গীরের মৃত্যু বিষয়ে আলাপ করছিলেন। খলিলুর রহমান নিজেকে জাহাঙ্গীরের দূরসম্পর্কের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তোতা মিয়ার ভাতিজা জাহাঙ্গীর আর বিএনপি নেতা হাশেম জাহাঙ্গীরকে ডাক্তারের কাছে নিয়া আসছিল। ওনারা আমার দোকান থেইকা পানি নিয়া জাহাঙ্গীরের মাথায় দিসে।’

আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মেহেদী ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় নয়জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আট থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক জ হ ঙ গ রক করছ ল ন ব এনপ র স লমদ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

দোষ বিয়ারিং প্যাডের নয়, যারা লাগিয়েছে কিংবা বুঝে নিয়েছে, তাদের: ডিএমটিসিএল এমডি

মেট্রোরেল চালুর আগে নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা (সেফটি অডিট) ছাড়াই যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকার মেট্রোরেলের। এর মধ্যে বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারী মারা গেছেন। এবার নতুন করে নিরাপত্তার নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর আজ সোমবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের আগে সেফটি অডিট হয়নি। তাই সেফটি অডিট করতে চাইছি। যত দ্রুত করা যায়, সেটা আমরা করব। থার্ড পার্টিকে (তৃতীয় পক্ষ) দিয়ে এই অডিট করানো হবে। ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়েই করানো হবে। আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগির টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় যাব।’

এক বছর আগে ঢাকার মেট্রোরেলের স্তম্ভের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার পর গত ২৬ অক্টোবর ফার্মগেটে আরেকটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় শাহবাগ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল।

বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার পর এগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস নয়। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে, ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে, সেটা বলতে পারি, ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটা কারণেও হতে পারে।’

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের নয়। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, সেটি বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কি না? যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল, সে বুঝে নিয়েছে কি না, সেগুলো এখন দেখতে হবে।’

আরও পড়ুনবৃষ্টির পানি ঢোকে, এসি বিকল হয়, মেট্রোরেল ব্যবস্থায় ৪৫ সমস্যা০২ নভেম্বর ২০২৫

এসব কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য হাজার কোটি টাকায় বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করা আছে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেবেন পরামর্শক। আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পরামর্শকদের। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে, সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’

ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল, ওই অংশের ত্রুটি সারিয়ে দেওয়ার সময়সীমা (ডিফেক্ট লায়াবেলিটি) গত জুন পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ডিএমটিসিএল তাদের এই সময়সীমা গ্রহণ করেনি। কারণ, এখনো অনেক বড় ত্রুটি রয়ে গেছে। যত সমস্যা আছে, এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে। এ জন্য ‘ডিফেক্ট লায়াবেলিটি’ দুই বছর বাড়ানোর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের সব কটি পিলার পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, এর আগে পুরো পথের বিয়ারিং প্যাডের ছবি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছে। এরপর কর্মকর্তারা সরেজমিনে নিরীক্ষা করেছেন। যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। ডিএমটিসিএলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুনমেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড কী, খুলে পড়ার কারণ কী হতে পারে২৬ অক্টোবর ২০২৫

চার বছর আগে তাড়াহুড়া করে ঢাকার মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল দাবি করে ফারুক আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ছয় থেকে নয় মাসের পরীক্ষামূলক চলাচল নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল। তিন বছরে মেট্রোরেল চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রোরেল সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সব ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার পর ছয় থেকে সাত বছর লাগে। এর আগে প্রকল্প প্রণয়ন, সম্ভাব্যতা যাচাই ও অন্যান্য প্রস্তুতিতে চলে যায় তিন বছর।

২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা আগে নেওয়া হয়েছিল, তা কিসের ভিত্তিতে হয়েছে, তা তার বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেন ডিএমটিসিএলের এমডি।

নতুন মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প তাহলে মুখ থুবড়ে পড়ছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েনি। মেট্রোরেল আমাদের লাগবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। সরকারের উদ্দেশ্য হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নত মানের মেট্রোরেল নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রোরেল আমাদের করতেই হবে; তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’

আরও পড়ুনবিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে একজন নিহত, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ