জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকছে, সেদিকে দৃষ্টি বিএনপিসহ অন্যান্য দলের
Published: 4th, August 2025 GMT
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এসে ঘোষণা করা হচ্ছে বহুল আলোচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাবেশে এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এই জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সচেতন নাগরিক সমাজের আগ্রহ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এ কর্মসূচিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। এর ফলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়নের বর্ষপূর্তির এই দিনে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ের ওপর সব মহলের দৃষ্টি রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণা ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিকভাবে খুবই ক্রিয়াশীল।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও কয়েক দফায় চিঠি চালাচালির মধ্য দিয়ে সরকার গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে একটি জাতীয় সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে। এর মধ্যে আজ সোমবার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে। এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার আগে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এর খসড়া পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে বিএনপি খসড়া ঘোষণাপত্রের কিছু সংশোধনী দলীয়ভাবে চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। দলগুলোর মতামত দেখেই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানের প্রস্তাবনা ও তফসিলে সংযুক্ত করার কথা খসড়ায় উল্লেখ করে সরকার। জামায়াত, এনসিপিসহ কোনো কোনো রাজনৈতিক দলেরও এ দাবি ছিল। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজি হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চূড়ান্তভাবে চব্বিশের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানে সম্মত হয়েছে। তারা এ ঘোষণাপত্র সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে সন্নিবেশিত করার বিষয়ে একমত হয়েছে, এর বেশি নয়।
সরকারি একটি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পাঠানো খসড়ার ওপর কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার সংযোজন এবং শব্দগত পরিবর্তন এনে দলীয়ভাবে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে সরকারকে দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, সরকারের পাঠানো জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৬ দফা খসড়ায় প্রথম দফায় উল্লেখ ছিল, ‘এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে জাতীয় মুক্তির জন্য রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
এই দফায় বিএনপি গণপ্রতিরোধ গড়ে, এরপর ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করে’ শব্দগুলো যুক্ত করে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের খসড়া ঘোষণাপত্রে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার মতো বিষয় ছিল। আমরা বলেছি, এই জাতির শুরুই হলো ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। তাকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে, তারপরে জাতীয় জীবনে সংঘটিত অন্যান্য ঘটনাবলি। সেখানে তারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চকে সঠিকভাবে উল্লেখ করতে চায়নি বা দেয়নি। সেটা আমাদের আপত্তি ছিল এবং আমরা সেটা অন্তর্ভুক্ত করে পাঠিয়েছি সরকারের কাছে।’
সরকারের খসড়ার চতুর্থ দফায় ‘স্বাধীনতা–পরবর্তী আওয়ামী সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিপরীতে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাকশাল নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে.
এই দফায় বিএনপি বাকশালের নামে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের কথা উল্লেখ করেছে। এখানে বিএনপি শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রাখেনি। এ ছাড়া এ দফায় দলটি ‘১৯৭৯ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে একদলীয় বাকশালব্যবস্থা বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন করা হয়’ এ কথাগুলো যুক্ত করেছে।
সরকারের খসড়ার অষ্টম দফায় ‘বিগত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মতো আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ উল্লেখ করা হয়। সেখানে বিএনপির প্রস্তাবে ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি, শাপলা চত্বরে গণহত্যার’ উল্লেখ করা হয়নি।
সরকারের খসড়ার ১৭তম দফায় ‘ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নারী-শিশুসহ প্রায় দুই সহস্র মানুষকে নির্বিচার হত্যার’ কথা বলা হয়। সেখানে দুই ‘সহস্র’–এর জায়গায় দুই সহস্রাধিক মানুষকে নির্বিচার হত্যার কথা বলেছে বিএনপি।
এই দফায় ‘দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ পাশবিক নির্যাতন চালায়, অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বারণ করে। ফলে ছাত্ররা ৯ দফা ঘোষণা করে, যা পরবর্তীতে ১ দফায় রূপান্তরিত হয় এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে’ বলে উল্লেখ করা হয়। বিএনপির প্রস্তাবে ‘দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ পাশবিক নির্যাতন চালায়..., ফলে ছাত্ররা ৯ দফা ঘোষণা করে, যা পরবর্তীতে ১ দফায় রূপান্তরিত হয়’ শব্দগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
১৯তম দফায় ‘তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে এবং তিনি তার মন্ত্রিপরিষদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও অন্যান্য সংসদ সদস্যসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’ বলে উল্লেখ করা হয় সরকারের খসড়ায়। এখানে বিএনপি ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়’ পর্যন্ত উল্লেখ করেছে। ‘তিনি তার মন্ত্রিপরিষদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও অন্যান্য সংসদ সদস্যসহ’ কথাগুলো রাখেনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, জুলাই ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। সেটা কোথায় প্রদান করা হবে, সেটাও পরিষ্কার করেছি। যেহেতু জুলাই ছাত্র-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো, যদিও সাংবিধানিক নিয়মকানুন মেনে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরেও তার সব কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার একটা বর্ণনা থাকতে হয়, এটাই আমাদের রীতি। সেই অনুসারে ঐতিহ্যমাফিক সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে সেটার বর্ণনা থাকবে, আমরা সেখানে স্বীকৃতি দেব।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখন সেই ঘোষণাপত্রটা ঠিক একইভাবে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করবেন কি না, সেটা এখনো দেখার বিষয়। যদি দেখি অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু হয়েছে, সেটা তখন দেখা যাবে। এখনই বলার কিছু নেই।’
গত বছরের ডিসেম্বরে জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের মাধ্যমে। তাঁদের উদ্যোগে গত ফেব্রুয়ারিতে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষণাপত্রের বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই সোচ্চার। আন্দোলন ও দাবির মুখে অন্তর্বর্তী সরকার দুই দফায় (চলতি বছরের জানুয়ারি ও জুন) প্রতিশ্রুতি দিয়েও জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারেনি।
জুলাই ঘোষণাপত্র মূলত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতির একটি দলিল, যা রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে সংবিধানেও যুক্ত হতে পারে। এ ঘোষণাপত্রের দাবিতে সোচ্চার ব্যক্তিরা বলে আসছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র না হলে ভবিষ্যতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ‘অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল’ হিসেবে দেখিয়ে এতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বা এর মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে এই অভ্যুত্থানের একটি স্বীকৃতি দরকার। সেই কাজই জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। ভবিষ্যতে এটি অভ্যুত্থানের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র র খসড় চ ড় ন ত কর সরক র র প অন য ন য স ব ধ নত ক ত কর হত য র ত র জন র একট খসড় র ব এনপ সদস য র ওপর যবস থ দলগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘শরিয়াহ ও সরকারি নীতিবিরোধী’: নারী ও ইরানি লেখকদের ১৪০টিসহ ৬৭৯ বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচি থেকে নারীদের লেখা বই নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। মানবাধিকার ও যৌন হয়রানি–সম্পর্কিত বিষয়ে পাঠদানের ওপর একটি নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শরিয়াহবিরোধী ও সরকারি নীতির পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় ৬৭৯টি বইকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে চিহ্নিত করেছে তালেবান। নিষিদ্ধ এসব বইয়ের মধ্যে ১৪০টি নারীদের লেখা ও ৩১০টি ইরানি লেখকদের লেখা বা ইরানে প্রকাশিত।
নিষিদ্ধ বইয়ের ৫০ পৃষ্ঠার একটি তালিকা আফগানিস্তানের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আফগান সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয়েছে, তারা এখন থেকে ১৮টি বিষয়ে পাঠদান করতে পারবে না। তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেন, এসব বিষয় মূলত ইসলামি শরিয়তের মূলনীতি ও সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
চার বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের নানা নিয়মকানুন জারি করেছে তালেবান সরকার। চলতি সপ্তাহেই তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে অন্তত ১০ প্রদেশে ‘ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট’ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আফগান সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয়েছে, তারা এখন থেকে ১৮টি বিষয়ে পাঠদান করতে পারবে না। তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব বিষয় মূলত ইসলামি শরিয়তের মূলনীতি ও সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।অনেকের মতে, এসব নিয়মকানুন আফগানিস্তানের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কিশোরী ও নারীরা এসব নিয়মের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে তাদের শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ। ২০২৪ সালের শেষ দিকে ধাত্রীবিদ্যা বা মিডওয়াইফারি কোর্সও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ১৮ বিষয়ে পাঠদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার ৬টিই নারীদের নিয়ে, যেমন ‘জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’, ‘দ্য রোল অব উইমেন ইন কমিউনিকেশন’ ও ‘উইমেনস সোসিওলজি’।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কী কারণে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া ১৪ জুলাই ২০২৫তালেবান সরকার বলেছে, তারা আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামিক আইনের ভিত্তিতে নারী অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তালেবানের এসব নিয়মকানুন দেশটির মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কিশোরী ও নারীরা এসব নিয়মের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।তবে আফগানিস্তানের বই পর্যালোচনা কমিটির একজন সদস্য বিবিসিকে বলেন, নারী লেখকদের সব বই পড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ বইগুলোর তালিকায় আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জাকিয়া আদেলির বইও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চার বছরে তালেবান যা করেছে, তাতে পাঠ্যসূচিতে এমন পরিবর্তনে অবাক হইনি। নারীরা পড়াশোনা করতে পারছেন না। তাদের মতামত ও লেখালিখির অধিকারও দমন করা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
আরও পড়ুনরাশিয়ার পর আর কোন কোন দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে পারে০৫ জুলাই ২০২৫গত আগস্টের শেষ দিকে বই নিষিদ্ধের অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক জিয়াউর রহমান আরিয়ুবি। তিনি বলেন, আলেম ও বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু নারী লেখকই নয়, নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকায় ইরানি লেখক ও প্রকাশকদের বইও রয়েছে। বই পর্যালোচনা কমিটির এক সদস্য বলেন, আফগান পাঠ্যসূচিতে ইরানি বিষয়বস্তুর প্রবেশ ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনতালেবান শাসনের তিন বছর, কেমন আছে আফগানিস্তান১৫ আগস্ট ২০২৪