অসুস্থতার কারণে প্রসিকিউটর পদ থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. হাসানুল বান্না। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে তিনি এই আবেদন করেন।

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্মরত সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

পদত্যাগের চিঠিতে হাসানুল বান্না লিখেছেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে জন্ডিস/ লিভারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। আমার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ার কারণে আপনার (চিফ প্রসিকিউটর) অফিসে যোগদান করতে পারছি না। আমার চিকিৎসার জন্য আরও সময় লাগবে। এমতাবস্থায় আমি আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রসিকিউটর পদ থেকে পদত্যাগপূর্বক অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’

প্রসিকিউটর মোনাওয়ার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেছেন, চিফ প্রসিকিউটর তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জন্ডিস ও যকৃতের অসুখে ভুগছেন। নিয়োগের পর মাত্র কয়েক দিন অফিস করার পরই তাঁর শরীরে এই জটিল রোগ ধরা পড়ে। এর পর থেকেই তিনি ছুটিতে ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ