কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনায় থাকেন বলিউড তারকা আমির খান। এবার আমিরের বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ভাই ফয়সাল খান। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইন্সের সঙ্গে আমিরের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দুজনের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।
এবিপি আনন্দ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘গোলাম’ সিনেমার শুটিং চলাকালে জেসিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এর মধ্যে জেসিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আমির তাঁকে গর্ভপাত করাতে বলেন, তবে জেসিকা তা প্রত্যাখ্যান করেন। সন্তানের জন্ম দেন, সন্তানের নাম রাখেন জান।

কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনায় থাকেন বলিউড তারকা আমির খান। এবার আমিরের বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ভাই ফয়সাল খান। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইন্সের সঙ্গে আমিরের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দুজনের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।
এবিপি আনন্দ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘গোলাম’ সিনেমার শুটিং চলাকালে জেসিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এর মধ্যে জেসিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আমির তাঁকে গর্ভপাত করাতে বলেন, তবে জেসিকা তা প্রত্যাখ্যান করেন। সন্তানের জন্ম দেন, সন্তানের নাম রাখেন জান।

আরও পড়ুন২৫ বছর পর ‘লগান’–এর সেই গ্রামে আমির খান০৩ আগস্ট ২০২৫

২০০৫ সালে সবচেয়ে বড় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আমির খান। এই সময় ‘স্টারডাস্ট’ ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে জেসিকার সঙ্গে আমিরের প্রেমের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। দুজনের সন্তান থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে সেই সন্তানকে কখনোই স্বীকৃতি দেননি আমির খান। বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন। আমিরের ভাই ফয়সাল খানের দাবি, ঘটনা সত্যি। দুজনের সম্পর্ক ছিল, সন্তানও আছে।
২০১২ সালে বিখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জানের ছবি প্রকাশ পায়। সম্প্রতি জেসিকার নতুন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানের সঙ্গে আমির খানের চেহারার সাদৃশ্য খুঁজছেন কেউ কেউ। ফয়সাল খান অভিযোগ করেছেন, রীনা দত্তের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর জেসিকার সঙ্গে আমিরের সম্পর্ক গাঢ় হয়। কাছাকাছি সময়ে কিরণ রাওয়ের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন আমির।
ফয়সাল খান বলেন, চিঠি লিখে পরিবারকে আমিরের এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে জানিয়েছিলেন, তবে তা আমলে নেওয়া হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফয়স ল খ ন সন ত ন র আম র খ ন আম র র ব দ জন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ