সীতাকুন্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, আটক ৪
Published: 30th, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমুল এলাকায় অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পেয়েছে সেনাবাহিনী।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুইমারা রিজিয়নের সিন্ধুকছড়ি জোনের সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্র তৈরির এই কারখানার সন্ধান পায়। অভিযানে অস্ত্র কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ইউনিয়নের ছিন্নমুল এলাকায় অস্ত্র খারখানার সন্ধান পেয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কারখানা হতে চার জন হাতেনাতে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র।
এছাড়া কারখানা থেকে ৬টি দেশীয় অস্ত্র, ৩৫ রাউন্ড কার্তুজ, চাইনিজ কুড়াল ১টি, ছুরি ২০টি, চার্জারসহ ২টি ওয়াকিটকি, মেগাফোন ১টি, প্যারাসু্ট ফ্লেয়ার ৪টি এবং অন্যান্য অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং সন্ত্রাস দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী