সোনারগাঁয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলো জশনে জুলুস
Published: 6th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে পালিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এই বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয় ।
ভোর থেকেই সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মুসল্লিরা জড়ো হতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলে ভক্ত-অনুরাগীদের ধর্মীয় স্লোগান আর কালেমায় মুখরিত হয়ে ওঠে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা ।
বাংলাদেশ গাওসিয়া কমিটি সোনারগাঁ শাখা ও আহলে সুন্নাতে আল জামায়াতের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও ইসলামি ছাত্র সেনার তত্ত্বাবধানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.
প্রতিবছরের মতো এবারও পুরো পথজুড়ে ছিল আয়োজনের ছড়াছড়ি। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সাজানো হয় পানি, শরবত, তাবাররুক ও খাবারের স্টল। স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক সেবা দিতে কাজ করেন।
অংশগ্রহণকারীদের হাতে শোভা পায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও আনজুমানের নিজস্ব পতাকা, যা পুরো শোভাযাত্রায় ছড়িয়ে দেয় ভিন্ন আবহ।
ঐতিহাসিক এই জশনে জুলুসের সূচনা হয় ১৯৮০ সালে। টানা ৫৪ বছর ধরে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে হয়ে আসছে এই মহাসমারোহ। বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জুলুসে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিবছর লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন
আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার
মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী