পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে  হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি কিশোর গ্যাং প্রধান ইভন (৩০)  কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সাইফুল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।

নিহত কিশোর গ্যাং লিডার ইভন ফতুল্লা মডেল থানা সীমান্তের  ইসদাইর এলাকার এম,এ আজম বাবুর  পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে রোবাবার রাত  ৯ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার অক্টোঅফিস চেঙ্গিস খানের বাড়ীর সামনের রাস্তায়।

নিহতের বড় ভাই রাফিন  জানান, তিনি সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন। তিনি এসে জানতে পারেন ইভন মারা গেছে।

তিনি জানান, তিনি জানতে পেরেছেন রাত নয়টার দিকে ইসদাইর অক্টো অফিস্থ চেঙ্গিস মিয়ার বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে নাছিম নামের এলাকার এক ছোট ভাইকে নিয়ে মোটর বাইকে করে নিজ এলাকায় ফিরছিলো ইভন।

এমন সময় মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ইভন কে বাইক থেকে নামিয়ে শফিকুল তার দুই ভাই পাগলা সাইফুল ও বাবু সহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী কোপায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে সাথে থাকা নাছিম কে কোপায়।

এক পর্যায়ে ইভনের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীর। পরে  শরিফ  নামের এক যুবক ইভন কে প্রথমে  শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ইভনের বাবার বরাত দিয়ে  ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) শহিদুল জানান, সাইফুল,বাবু ও তাদের অপর এক ভাই সহ বেশ কয়েক সন্ত্রাসী রাত নয়টার দিকে ইভন কে কোপায়।

পরে ইভনের সহোযোগিরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করে। সেখানে ইভন মারা যায়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ সন ত র স

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ