সৈকতে মিলল ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের স্বজনের মরদেহ
Published: 8th, September 2025 GMT
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া কিশোর মোহাম্মদ আহনাফের (১৭) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সমিতি পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রথম গলি সংলগ্ন সৈকতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
আহনাফ বগুড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে। তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বড় ভাইয়ের শ্যালিকার সন্তান। আহনাফ এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছাল ২ প্রবাসীর লাশ
পটুয়াখালীতে হাত-পা ও মাথাবিহীন শিশুর লাশ উদ্ধার
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে গোসলে নামেন আহনাফ। এ সময় তিনজন ভেসে গেলে লাইফগার্ড টিমের তৎপরতায় দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। আহনাফ নিখোঁজ ছিলেন। আজ সোমবার ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা দোলন আচার্য্য বলেন, “নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও লাইফগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ কেরে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।”
সি-সেইফ লাইফগার্ডের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “আমাদের রেসকিউ টিম বোটসহ দিন-রাত চেষ্টা চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আজ সকালে মরদেহটি উদ্ধার হয়।”
কক্সবাজার বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুব আলম বলেন, “সোমবার সকাল ৬টায় সৈকতের সমিতি পাড়া এলাকায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেন। সেখানে গিয়ে দেখি, এটি নিখোঁজ আহনাফের মরদেহ। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
রবিবার রাতে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ফোনে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, “আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, ডিসি-প্রশাসনসহ সবাই সহযোগিতা করেছেন। এখন বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।”
গত এক বছরে কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ১২জন পর্যটক। একই সময়ে ৭৮ জনকে উদ্ধার করেছে সি-সেইফ লাইফগার্ড টিম।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র ল ইফগ র ড র মরদ হ উদ ধ র আহন ফ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।