2025-06-13@12:28:19 GMT
إجمالي نتائج البحث: 9

«ল ইফগ র ড»:

    ঈদের ছুটিতে সর্বাধিক পর্যটক সমাগম ঘটে দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। পর্যটকের চাপ সামলানোর জন্য যে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার কথা, সেটা নেই বললেই চলে। ফলে পর্যটকের মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক ঘটনাও সেখানে ঘটছে। এবারের ঈদের ছুটিতে দুই দিনেই অন্তত ছয়জন পর্যটক সমুদ্রে গোসল করতে নেমে মারা গেছেন। বারবার এমন ঘটনা ঘটলেও এর কোনো কার্যকর প্রতিকার মিলছে না। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত বলা হলেও কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্ভবত সবচেয়ে করুণই বলতে হবে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের মাত্র পাঁচ কিলোমিটারে কিছু লাইফগার্ড ও বিচকর্মী থাকেন, বাকি সৈকত এলাকা একেবারেই অরক্ষিত। বিশেষ করে টেকনাফ, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর—সব জায়গায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকলেও নেই কোনো সমন্বিত উদ্ধারব্যবস্থা। পর্যটকেরা গুপ্তখালের হুমকি বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছেন।সরকার, হোটেল-মোটেলের মালিক, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি—সবাই...
    ঈদের ছুটির দুই দিনে সাগরে নেমে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের একাধিক স্থানে ভাঙন ও গুপ্তখালের সৃষ্টি হওয়ায় সাগরে নামার আগে বিপদ টের পাচ্ছেন না পর্যটকেরা। পর্যটকদের উদ্ধারের আয়োজনও অপ্রতুল। ফলে সমুদ্রস্নানে যাওয়া পর্যটকদের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। নানা অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও নিরাপদ গোসলের ব্যবস্থা না হওয়ায় হতাশ পর্যটন–সংশ্লিষ্টরা। হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ ও টুরিস্ট পুলিশের হিসাবে, ঈদের ছুটিতে গত দুই দিনে অন্তত আড়াই লাখ পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন। আগামী দুই দিনে আসবেন আরও তিন লাখ মানুষ। ভ্রমণে আসা ৯০ শতাংশ পর্যটক সাগরে নামেন গোসল করতে। কিন্তু গত তিন দশকেও সমুদ্রের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় নিরাপদ গোসলের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। পর্যটন খাত থেকে হোটেল-মোটেল মালিক এবং সরকার বিপুল টাকা আয় করলেও নিরাপদ গোসলের ব্যবস্থার...
    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলের একপর্যায়ে স্রোতের টানে ভেসে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত দুজন হলেন রাজশাহীর শাহিনুর রহমান (৫৮) ও তাঁর ছেলে সিফাত রহমান (২০)।এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে চট্টগ্রামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। শনিবার সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে মাছ ধরতে গিয়ে এক পর্যটক ও স্থানীয় এক বাসিন্দা ভেসে যান। পরে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন লাইফগার্ডের কর্মীরা।আরও পড়ুনকক্সবাজারে সৈকতে ভেসে যাচ্ছিলেন বন্ধু, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন যুবক ১ ঘণ্টা আগেএদিকে পুলিশ ও লাইফগার্ডের কর্মীরা জানান, গত দুই দিনে সমুদ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে গোসলে নেমে তিন পর্যটকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।কলাতলী সৈকতে পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থা ‘সি সেফ লাইফগার্ড স্টেশন’–এর লাইফগার্ড মোহাম্মদ শুক্কুর জানান, কয়েক দিন ধরে বঙ্গোপসাগর...
    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে একসঙ্গে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ব্যক্তিরা হলেন- শাহীনুর রহমান (৬০) এবং তার ছেলে সিফাত (২০)। এসব তথ্য  নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছিলেন।  কলাতলী পয়েন্টে দায়িত্বরত সিসিএফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, বাবা-ছেলে একসঙ্গে গোসলে নেমে ভেসে যাচ্ছিলেন। তখন লাইফগার্ডের কর্মীরা দেখতে পেয়ে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দু’জনই অতিরিক্ত রক্ত বমি করেন। একপর্যায়ে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। সিসিএফ লাইফগার্ডের আরেক কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর জানান, গেল কয়েকদিন ধরে সাগর উত্তাল। বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং উল্টো স্রোতের টানও তীব্র। এজন্য লাইফগার্ডের...
    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলের সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকের তুলনায় ৪-৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। এতে সমিতিপাড়া-ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও কবিতা চত্বর পয়েন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঝাউবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।সাগর উত্তাল থাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সৈকতে পর্যটকদের গোসলে নামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। আজ ও আগামীকাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক শ পর্যটক সৈকতের বালুচরে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর দেখছেন। সেখানে লাল নিশানা টাঙিয়ে গোসল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাইফগার্ড ও পর্যটন পুলিশ মাইকিং করে সতর্কতা...
    ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলে কোনো কক্ষ খালি নেই। হোটেলমালিকদের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দ্বিতীয় দিন গত মঙ্গলবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ। শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসে করে কক্সবাজারে আসছেন পর্যটকেরা। তাঁদের অনেকেই হোটেলের কক্ষ না পেয়ে সড়কে, রেস্তোরাঁয় ও বাস কাউন্টারে বসে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ একটি কক্ষ ভাড়া পেলেই সেখানে ৮-৯ জন গাদাগাদি করে থাকছেন।বেলা ১১টার দিকে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা যায়, দুই কিলোমিটার সৈকতজুড়ে পর্যটকের ভিড়। এর বেশির ভাগই সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করছেন। দক্ষিণের কলাতলী ও উত্তরের দিকের সিগাল ও লাবণী পয়েন্টেও মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পর্যটকদের সেবায় সৈকতে কর্মরত দেখা যায়, লাইফগার্ডের ২৭ জন স্বেচ্ছাসেবী, ৩৪...
    ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু মানুষজন ছুটছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, পছন্দের জায়গায়। বেশির ভাগ মানুষের পছন্দের তালিকার শীর্ষে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেন হাজার হাজার পর্যটক। বাস-ট্রেন, এমনকি বিমানেও এসেছেন পর্যটকেরা। হোটেলকক্ষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মানুষজন নেমে পড়ছেন সমুদ্রসৈকতে। রমজান মাসজুড়ে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকসংখ্যা কম থাকলও আজ সকাল থেকে পা ফেলার জায়গা নেই।বেলা ১১টায় সৈকতের কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে দেখা গেছে মানুষের মেলা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় জড়ো হয়েছেন ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ। প্রচণ্ড গরমের এই দুপুরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ সমুদ্রে নেমে গোসলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সি সেফ লাইফ গার্ডের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টা থেকে সাগরে জোয়ার চলছে। জোয়ারের প্রভাবে ঢেউয়ের মাত্রা (উচ্চতা)...
    কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টে আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল সেরে আসার পর অসুস্থ হয়ে এক পর্যটক মারা গেছেন। অসুস্থ ওই পর্যটককে লাইফগার্ড কর্মীরা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পর্যটকের নাম ফেরদৌস খান (৪০)। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে বেসরকারি লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠান সি সেফ-এর সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ জানান, বিকেল চারটার দিকে পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে ফেরদৌস খান সমুদ্রের পানিতে গোসলে নামেন। গোসল সেরে পাঁচজন নিরাপদে পানি থেকে বালুচরে উঠে এসে কিটকট (সৈকতের আরাম চেয়ার) চেয়ারে বসেন। এ সময় হঠাৎ ফেরদৌস খান অসুস্থ হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। বন্ধুদের সহযোগিতায় লাইফগার্ড কর্মীরা ফেরদৌস খানকে...
    শীত বিদায়ের আগে সমুদ্রের ঢেউ আর সূর্যাস্তের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন কক্সবাজারে। সপ্তাহিক ছুটির দিনে লাবণি, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট পরিণত হয়েছে পর্যটকদের মিলনমেলায়। সৈকতের বালুচরে গাঁ ভাসিয়ে, গলা সমান পানিতে সাগরের উত্তাল ঢেউ উপভোগ করে কিংবা বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সৈকতের প্রধান তিনটি পয়েন্টে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। কেউ সমুদ্রের নোনাজলে ডুব দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে, কেউবা বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে বসে ছবি তুলে ধরে রাখতে চাইছেন স্মৃতির পাতায়। বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক আর ঘোড়ার পিঠে চড়ে উত্তেজনার রোমাঞ্চ উপভোগ করছেন তরুণরা। শিশুদের কোলাহল, ঢেউয়ের গর্জন আর পর্যটকদের হাস্যরসে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। সুনামগঞ্জ থেকে...
۱