সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষায় নানা বৃত্তি ও ফেলোশিপ দেয়। এবার দিচ্ছে ফেলোশিপ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় দেবে এ ফেলোশিপ। এর নাম ‘এক্সিলেন্স মাস্টার ফেলোশিপ’। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সব বিষয়ে স্নাতকোত্তরে পড়তে পারবেন। বাংলাদেশসহ অন্য সব দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় সুইজারল্যান্ডের অন্যতম প্রাচীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আইন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য কোর্স ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে, যা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। অ্যাস্ট্রোনমি, বায়োলজি, কেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োকেমিস্ট্রি, কম্পিউটার সায়েন্স, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিকস, আর্থ সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।
সুযোগ-সুবিধা
এক্সিলেন্স মাস্টার ফেলোশিপে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক পাবেন। এক বছরের জন্য এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
আবেদনের যোগ্যতা
স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে
একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে
ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে
নতুন আবেদনকারী হতে হবে
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি;
পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (সর্বাধিক ২ পৃষ্ঠা);
একাডেমিক সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্ট;
মোটিভেশন লেটার;
রেফারেন্স লেটার (দু’জন অধ্যাপক)
ইংরেজি ভাষাদক্ষতার প্রমাণ হিসেবে জিআরই, আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোরের সনদ।
আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে– https://www.
থাইল্যান্ড
এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ১৯৫৯ সালে যাত্রা শুরু করে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এআইটি। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন সাধনে কাজ করে।
সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ;
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ;
আবাসনের সুবিধা;
জীবনযাত্রার খরচ মিলবে ও
আছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে;
একাডেমিক সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ থাকতে হবে;
পিএইচডির জন্য অবশ্যই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে;
একাডেমিক সিজিপিএ স্নাতক ও lস্নাতকোত্তরে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ থাকতে হবে
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএসে ব্যান্ডস্কোর ন্যূনতম ৬ থাকতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে–
https://ait.ac.th/financial/royal-thai-government-scholarships/?fbclid=IwY2xjawGHHa1leHRuA2FlbQIxMAABHSyjtzNdGf_XWgbiF2Fr7kSWk9Ir48g_fPD6nCKW8EHf02SxD9K3kqGd_A_aem_hrKbQXeSAlCTvnJrorsGoA
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।