ফরিদপুরে তৃতীয় দিনে শীতবস্ত্র পেল দেড় হাজার মানুষ
Published: 13th, January 2025 GMT
ফরিদপুরে শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের তৃতীয় দিন সোমবার কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দেড় হাজার মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় গত শনিবার ফরিদপুরে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সদরের ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ২০ হাজার কম্বল দেওয়া হবে।
এতে সহায়তা করছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা– এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি এবং পিডব্লিউ।
ব্যাংকটির ফরিদপুর শাখার ব্যবস্থাপক কে এম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে গতকাল কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এফডিএর নির্বাহী পরিচালক আজাহারুল ইসলাম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, একেকের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল জলিল, পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।