ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্র: ‘এর মতো কোনো কিছু হতেই পারে না’
Published: 14th, January 2025 GMT
ব্যাটিংয়ে নামছেন শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দর শেবাগ, বোলিং শুরুর আগে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান দল।
এমনই এক ছবিকে পোস্টার বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেছে নেটফ্লিক্স। জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি ক্যাপশন দিয়েছে, ‘দুটি জাতি। একটি মহাকাব্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ১৬০ কোটির প্রার্থনা।’
এরপরই বিজ্ঞাপনী আহ্বান, ‘একটি লিগ্যাসির রোমাঞ্চকর সাক্ষী হতে আসুন। এর মতো কোনো কিছু হতেই পারে না।’
হ্যাঁ, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে বিশেষ তথ্যচিত্র নিয়ে আসছে নেটফ্লিক্স; এই ডকুমেন্টারি সিরিজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা: ভারত বনাম পাকিস্তান।’ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এটি মুক্তি পাবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াই ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেটফ্লিক্সের এই ডকুমেন্টারি সিরিজে সৌরভ গাঙ্গুলী, বীরেন্দর শেবাগের মতো কিংবদন্তিরাও থাকছেন। ১৯৭৮ সালে দুই দল প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচের কিছু গল্পও উঠে আসবে। সুনীল গাভাস্কার ও শোয়েব আখতারের কাছ থেকে দর্শকেরা অজানা অনেক কিছু জানতে পারবেন। অর্থাৎ, তথ্যচিত্রে শুধু ভারত–পাকিস্তানের ২২ গজের দ্বৈরথই তুলে ধরা হবে না; বরং এই ম্যাচ ঘিরে খেলোয়াড়দের স্নায়ুর চাপ কেমন থাকে, সেসবও উঠে আসবে।
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এক যুগ হলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে না ভারত–পাকিস্তান। দুই দলের ম্যাচ দেখতে তাই আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোর দিকেই চেয়ে থাকতে হয়। সেখানেও ঝামেলার শেষ নেই।
আরও পড়ুনভারত না পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে টানাটানিতে জিতল কোন দল২১ ডিসেম্বর ২০২৪এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় ভারত রোহিত–কোহলি–বুমরাদের সেখানে পাঠাতে রাজি হয়নি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তান সরকারও ভবিষ্যতে ভারতে তাদের কোনো ক্রিকেট দল পাঠাবে না।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।