ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ বাসন্তী চ্যাটার্জি। গত বছর গুরুতর অসুস্থ হয়ে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এবার পড়ে গিয়ে পাঁজরের হাড় ভাঙলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়াল যোগাযোগ করে বাসন্তী চ্যাটার্জির সঙ্গে। কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। একদিকে অসুস্থ, অন্যদিকে তার পাশে নেই পরিবারের কেউ। গৃহপরিচারিকা তার দেখাশোনা করছেন বলেও জানান ছিয়াশির বাসন্তী।

শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “খুব ব্যথা। নড়তে পারছি না। পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। ডাক্তাররা কীসব পানি বের করেছে। পরিচারিকা মেয়েটা দেখাশোনা করছে। কিন্তু আমি যে আর পারছি না। সমানে ঠাকুরকে বলছি ব্যথাটা কমিয়ে দাও।”

আরো পড়ুন:

পারিবারিক সহিংসতার শিকার নির্মাতা

ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশট নিয়ে মুখ খুললেন নির্মাতা বান্নাহ

বাসন্তী চ্যাটার্জির এক ছেলে এক মেয়ে। সবাই যার যার সংসার নিয়েই ব্যস্ত। বাসন্তী চ্যাটার্জিও আলাদা বাড়িতে একাই বসবাস করেন। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ছেলে-মেয়ে নন, তাকে ভর্তি করেছিলেন গাড়ি চালক। মাত্র একদিন ছেলে-মেয়েরা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন গাড়ি চালক মলয় চাকির।

বর্তমানে বাসন্তী চ্যাটার্জি ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় এ নাটকের শুটিংও বন্ধ। স্বাভাবিকভাবে তার উপার্জনও বন্ধ বলে জানান এই অভিনেত্রী।

আপাতত নিজের ছেলের মতো বাসন্তী চ্যাটার্জিকে আগলে রেখেছেন অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জি। দ্য ওয়ালকে তিনি বলেন, “থাইয়ের কাছে বেডসোর-এর মতো হয়েছে। স্নেহাশীষদা খুব সাহায্য করছেন। কিন্তু বাসন্তীদির ওষুধ খরচ এত! কাজে যেতে না পারলেন তার তো উপার্জনও নেই। তাই যদি কেউ একটু উনাকে অর্থসাহায্য করেন তবে খুব উপকার হয়।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন ভাস্বর।

দীর্ঘদিন ধরে পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত বাসন্তী চ্যাটার্জি। গত বছর তার বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিনেত্রীর একটি কিডনিও সচল নেই। ফলে প্রতি মাসে ২০ হাজার রুপি ব্যয় ঔষধের জন্য। তার মধ্যে পাঁজরের হাড় ভেঙে নতুন সংকটে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।

আটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাসন্তী চ্যাটার্জি বেশ কিছু সিনেমায়ও কাজ করেছেন। বর্তমানে স্টার জলসার ‘গীতা এলএলবি’ অভিনয় করছেন। ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত ওরফে অগ্নিজিৎ মুখার্জির মায়ের চরিত্র রূপায়ন করছেন বাসন্তী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ