সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবদলের নেতাকর্মীরা মিলে পৌষ উৎসব উদযাপন করেছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কোনাবাড়ী যুব সমাজের ব্যানারে শহীদুল বুলবুল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উৎসবে মেতে ওঠে নেতাকর্মীরা।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর এ উৎসবে ৪ শতাধিক নেতাকর্মী ও গ্রামের সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। পৌষ উৎসবে নতুন ধানের ভাত, ডাল, ডিম ও সবজি রান্না করে পরিবেশন করা হয়।

পৌষ উৎসবে প্রধান মেহমান ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.

বদিউজ্জামান ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বী উথান, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

‘খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশ গেছেন, আর হাসিনা পালিয়ে’ 

বিএনপি ক্ষমতায় যাবে না, কে যাবে: হারুনুরের প্রশ্ন

উৎসবে অংশ নেওয়া বিএনপির নেতারা বলেন, ‘‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পৌষ উৎসব, যাকে আমরা বলে থাকি ‘পুষুরা’, সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মিলনমেলা হয়েছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়বে এবং আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’’ উৎসবে অংশ নিয়ে সকলে আনন্দিত বলে জানান তিনি।

প্রধান মেহমান সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস জানান, পৌষ মাস বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সময়। নতুন ধানের ঘ্রাণে গ্রাম বাংলা মেতে ওঠে। আগে বাংলার ঘরে ঘরে এ সময় উৎসবের আয়োজন করা হতো। তবে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এ উৎসবের আমেজ হারিয়ে গিয়েছিল। পট পরিবর্তনের পর সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন উদ্যমে পৌষ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই এ আয়োজন।
 

ঢাকা/রাসেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ প ষ উৎসব ন ত কর ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক