৭৫ দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র নিয়ে গত শনিবার শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে উৎসবটির আয়োজন করেছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ। আজ উৎসবের পঞ্চম দিন রয়েছে একাধিক সিনেমার প্রদর্শনী। 

জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন

সকাল সাড়ে ১০টায় রয়েছে সিরিয়ার সিনেমা ‘উয়ানিং’। ২৭ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা হোসাম হামো, এরপর থাকছে ভারতের ‘সিরিয়া সাওহা’ সিনেমার ইংরেজি নাম ‘ইন দ্য নেম অব ফায়ার’। ১০০ মিনিটের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অভিলাষ শর্মা। দুপুর ১টায় রয়েছে চীনের ‘ম্যান কিয়ান বাও দি’। ১০৯ মিনিটের এ সিনেমার পরিচালক হাওফেং জু, জুনফেং জু। বেলা ৩টায় থাকছে চীনের ‘মো লু কুয়াং হুয়া কিয়ান’ সিনেমার ইংরেজি নাম ‘দ্য লাস্ট ফ্রেঞ্জি’। ১০৭ মিনিটের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নানা। বিকেল ৫টায় থাকছে ইরানের সিনেমা ‘তাবেস্তান-ই হামান সাল’। ছবির ইংরেজি নাম ‘সামার টাইম’। ১০৯ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদ কালারি। সন্ধ্যা ৭টায় দেখানো হবে বাংলাদেশের সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ৬৫ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তৌফিক এলাহী।

জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন

সকাল সাড়ে ১০টায় দেখানো হবে আর্জেন্টিনার স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘ফিটো’। ৭ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা কার্লোস ফারিনা, এরপর থাকছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ম্যাজিক অব সান্তা ক্লজ’। ৯ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা অ্যান্ড্রু ডি বার্গ। এরপর থাকছে রাশিয়ার ‘তিমির’। ৯১ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নিকোলে কোরিয়াকিন। দুপুর ১টায় রয়েছে রাশিয়ার সিনেমা ‘অ্যাঞ্জেলস অব রেভল্যুশন’। ১০৬ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা আলেক্সি ফেডোরচেঙ্কো। বেলা ৩টায় থাকছে লিচেনস্টাইনের সিনেমা ‘দ্য ওম্যান অ্যান্ড দ্য ক্রস’। ৮০ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আর্নো ওহরি। সন্ধ্যা ৫টায় দেখানো হবে সুইজারল্যান্ডের ‘দ্য স্পিরিচুয়ালাইজেশন অব জেফ বয়েড’। ১০৩ মিনিটের এ সিনেমাটি বানিয়েছেন উয়ে শোয়ার্জওয়াল্ডার। সন্ধ্যা ৭টায় দেখানো হবে জাপানের ‘পারফর্মিং কারুস ফিউরেনাল’। ১০০ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা নরিকো ইউয়াসা। 

জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমি

সকাল সাড়ে ১০টায় দেখানো হবে জর্জিয়ার স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মার্টা’। ১১ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা আলেকসান্দ্রা জুকোভা। এরপর থাকছে রাশিয়ার ‘থার্টি সেকেন্ডস’। ২০ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা ইভান সোসনিন, এরপর থাকছে গ্রিসের ‘অ্যানর্থোডক্সোস’। ২৪ মিনিটের এ সিনেমার পরিচালক কনস্টান্টিনোস আন্তনোপোলোস। এরপর থাকছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, উত্তর মেসিডোনিয়ার সিনেমা ‘সাইলেন্স অব রিজন’। ৬৪ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কুমজানা নোভাকোভা। দুপুর ১টায় প্রদর্শিত হবে রাশিয়ার ‘দ্য সং’। ৬ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা ভিক্টর কিসলোভ। এরপর থাকছে ইতালির ‘মুসিন্তাসিয়া’। ১৪ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা আলেসান্দ্রো নাভারিনো। এরপর থাকছে জর্জিয়ার ‘ফ্রম দ্য লাইফ অব লাইফ’। ৯৩ মিনিটের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বেকা শিখারুলিজে। বেলা সাড়ে ৩টায় দেখানো হবে ব্রাজিলের ‘সুরু’। ৭ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা পেদ্রো আনিয়াস। এরপর মিসরের ‘ডিপার্চার’। ১২ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা হিশাম মেটওয়ালি। এরপর থাকছে ইতালির ‘অ্যা ডিয়ার ডায়েড হিয়ার’। ১৫ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা জন জিওর্দানো। তারপর জার্মানির ‘ফরওভার ইয়োরস’। ১৬ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা এলিয়ট লুই ম্যাকি। রাশিয়ার ‘দ্য মাসকেটিয়ার্স ডটার’। ১৭ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা নিকিতা ট্রান্টসিভ। স্পেনের ‘লোবো’ ছবির ইংরেজি নাম ‘উলফ’। ১৭ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা চার্লি রিডার। ইতালির ‘অ্যানিমা’। ২০ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা আন্দ্রে ব্যাগলিও। বিকেল সাড়ে ৫টায় থাকছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘ফুলের পোশাক’, ‘আলেয়া’, ‘নিষ্প্রাণ’, ‘সেনাপতি দীঘি’, ‘বাংলাদেশি ক্রিরাশ’। 

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা

সকাল সাড়ে ১০টায় থাকছে ভারতের ‘বেলাইন’। ৮৫ মিনিটের এ সিনেমার নির্মাতা সৌমিক রায়। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে থাকছে পাকিস্তানের সিনেমা ‘ইন ফ্লেমস’। ৯৮ মিনিটের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন জারার খান। বিকেল সাড়ে ৪টায় থাকছে চীনের ‘জাই শাও এনভি হুয়া ইং জিয়া’ ১০৯ মিনিটের এ সিনেমার পরিচালক হবি ঝাং। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র কর ছ ন ১০ট য়

এছাড়াও পড়ুন:

তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।

মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।

সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।

প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।

আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।

মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
  • ভালোবাসার ফ্রেমে মেহজাবীন-রাজীব, পেছনে আইফেল টাওয়ার