ফ্যামিলি কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে জেএসডির বিক্ষোভ
Published: 16th, January 2025 GMT
শতাধিক পণ্যে শুল্ক–কর আরোপ, টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ এবং ৪৩ লাখ পরিবারের ফ্যামিলি কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে বসুরহাট জিরো হয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেএসডি স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।
বক্তাগণ টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ ও ৪৩ লাখ পরিবারের ফ্যামিলি কার্ড বাতিল ও শতাধিক পণ্যে শুল্ক–কর আরোপ করায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা অবিলম্বে গ্রাম-শহরে শ্রমজীবীদের জন্য রেশন এবং ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি জানান। সমাবেশ থেকে কোম্পানীগঞ্জের মুছারপুরে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এসময় জেএসডি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাঠোয়ারী মুছারপুর থেকে বসুরহাটে জেএসডিরি মিছিল সমাবেশে আসার সময় বিএনপি কর্মীরা জেএসডির চারটি বাস আটকে রাখে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় নেতাদের কাছে বিচার দাবি করেন।
সমাবেশে জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীকে নোয়াখালী-৫ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেএসডির প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সিরাজ মিয়া।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল তারেক, নোয়াখালী জেলা জেএসডির সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি মো.
ঢাকা/সুজন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ