সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ১২ জন ছেলে-মেয়েকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আটক ছেলে-মেয়েদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারে।

স্থানীয়দের অভিযোগ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের রিজেন্ট পার্কে শুরু থেকেই অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ৫-৬ মাস ধরে এটি আরও বেড়েছে। এটি নামে পার্ক হলেও রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্রামের কক্ষ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন। এ সুযোগে পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।

এরকম অভিযোগে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ১২ জন ছেলে-মেয়ে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালাতে থাকেন। খবর পেয়ে, দুপুরে স্থানীয় ছাত্র জনতা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদেরকে কক্ষের ভেতরেই আটক করেন। আটক ছেলে-মেয়েদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মোগলাবাজার থানাপুলিশ। তবে স্থানীয় মুরব্বিরা এই ১২ ছেলে-মেয়ের অভিভাবকদের খবর দিয়ে কাজী এনে ১০ লক্ষ টাকা মহর ধার্য্য করে বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। অভিভাবকদের উপস্থিতিতে চারটি জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়। বাকীদের স্বজনরা নিজেদের উদ্যোগে বিয়ের আয়োজন করার আশ্বাস দিয়ে যান। 

এদিকে এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা রিসোর্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। এখানে ১২ জন ছেলে-মেয়ে রয়েছেন। তাদের বিভিন্ন কক্ষে অসামাজিক কাজরত অবস্থায় পেয়েছেন স্থানীয়রা। পরে এলাকার মুরব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রিসোর্টের ম্যানেজার হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন, কী হয়েছে তিনি জানেন না। রিসোর্টটি লিজ নিয়েছেন নগরীর বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন।

ঢাকা/নূর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খবর প য়

এছাড়াও পড়ুন:

বার্সার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে খেলা হবে না মার্টিনেজের 

বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-৩ গোলের সমতা করেছে ইন্টার মিলান। বার্সার মাঠ থেকে সমতা করে যাওয়ায় কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে ইতালির জায়ান্টরা। তবে অলিখিত ওই ফাইনালে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজকে না পাওয়ার শঙ্কায় আছে দ্য হিরোনসরা। 

বার্সার বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লাওতারো মার্টিনেজের। প্রথমার্ধ চলাকালে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে তাকে বদলি করে মেহদি তারিমিকে মাঠে নামান ইন্টার মিলান কোচ সিমোন ইনজাঘি। 

আগামী ৬ মে রাতে দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ খেলতে নামবে ইন্টার ও বার্সা। ওই ম্যাচে মার্টিনেজের খেলা হবে না। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত না করলেও এক প্রকার জানিয়ে দিয়েছেন ইন্টার কোচ, ‘লাওতারো পায়ে অস্বস্তি বোধ করছিল। আমরা কাল তার আরও কিছু পরীক্ষা করানোর পর পরিস্থিতি বুঝতে পারবো। তবে দ্বিতীয় লেগে আমাদের জন্য অলিখিত ফাইনালে সে খুবই অনিশ্চিত।’

সাবেক ইতালি স্ট্রাইকার ইনজাঘি দ্বিতীয় লেগে বার্সার বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সান সিরোর ৭৫ হাজার দর্শকের সমর্থন বড় পার্থক্য গড়ে দেবে বলে মনে করেন তিনি, ‘আশা করছি, আমরা দ্বিতীয় লেগে বেঞ্জামিন পাভার্ডকে (রাইট ব্যাক) পাবো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত লাওতারোর ক্ষেত্রে একই আশা করছি পারছি না। দ্বিতীয় লেগ আমাদের জন্য ফাইনালের সমান এবং আমি ঘরের মাঠের ৭৫ হাজার দর্শককে গোনায় ধরছি। আমাদের ভক্তরা এই অর্জনে আমাদের সাহায্য করবে।’

চলতি মৌসুমে ইন্টার মিলানের সামনে ট্রেবল জয়ের সুযোগ ছিল। তবে কোপা ইতালিয়ায় এসি মিলানের বিপক্ষে হেরে ট্রেবলের সুযোগ শেষ হয়েছে তাদের। টিকে আছে ডাবল জয়ের সুযোগ। তবে পথে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। বার্সার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে জিততে হবে। ওদিকে ইতালির সিরি আ’তে সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্টে এগিয়ে ইন্টারের শীর্ষস্থান কেড়ে নিয়েছে নাপোলি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ