Samakal:
2025-05-01@00:23:11 GMT

ভোরের কাগজ বন্ধ ঘোষণা

Published: 20th, January 2025 GMT

ভোরের কাগজ বন্ধ ঘোষণা

বাংলা দৈনিক ভোরের কাগজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাজধানীর মৌচাকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এ-সংক্রান্ত নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’

এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পত্রিকাটির একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, কয়েক দিন ধরেই অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং নিয়োগের তারিখ থেকে সে অনুযায়ী বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন ভোরের কাগজের কয়েকজন সংবাদকর্মী। আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে গত রোববার সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের নেতা এবং ভোরের কাগজের সাবেক কিছু কর্মী প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে পত্রিকাটি হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে তা বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ।

তবে আন্দোলনকারীদের একজন পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওসার বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন এবং সমস্ত বকেয়া বেতনসহ নানা দাবিতে তারা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন। এর মধ্যে হঠাৎ করে পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিক-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মসূচি ঘোষণা করব।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ পত্রিকাটি বন্ধের বিষয়ে সোমবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, যে সংবাদমাধ্যম ক্ষমতার ছত্রছায়া ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না, সেটি বন্ধ হওয়াই ভালো। তবে সংবাদকর্মীদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে সর্বশেষ ওয়েজ বোর্ড ও শ্রম আইন অনুযায়ী। 

প্রিন্ট এডিশন বন্ধ থাকলেও পত্রিকাটির অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া চালু থাকবে বলে জানা গেছে। গত ১১ ডিসেম্বর অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধনে স্বত্বাধিকারীর নাম পরিবর্তনের জন্য প্রধান তথ্য কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর নামে পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকার। এতে বলা হয়, ভোরের কাগজ ডটকমের নিবন্ধনে স্বত্বাধিকারী হিসেবে সাবেক সম্পাদক শ্যামল দত্তের নাম রয়েছে। কিন্তু পত্রিকাটির স্বত্বাধিকারী হিসেবে সব কাগজপত্রে সাবের হোসেনের নাম রয়েছে। তাই অনলাইনের নিবন্ধনে স্বত্বাধিকারীর নাম পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে। পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।

‘মুক্তপ্রাণের প্রতিধ্বনি’ স্লোগান নিয়ে ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে ভোরের কাগজ। বলা হয়ে থাকে, একদল তরুণ ও অভিজ্ঞ কর্মীর সমন্বয়ে পত্রিকাটি দেশের দৈনিক সংবাদপত্রের প্রচলিত ধারণা পাল্টে দেয়। এই পত্রিকার মাধ্যমে হাতেখড়ি নেওয়া অনেক সংবাদকর্মী দেশ-বিদেশে গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। পত্রিকাটি বন্ধ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সাবেক কর্মীকে স্মৃতিচারণ করতে দেখা যায়। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা

বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।

এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।

সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’

প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’

রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
  • একাধিক সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
  • সুযোগ পেয়েও কেন রাজনীতিতে জাড়াননি প্রীতি জিনতা
  • রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা