নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদ নেই। এই জঙ্গিবাদের তকমা শেখ হাসিনা ও তার দোসরা এদেশে তৈরি করেছিল। আপনারা কিন্তু দেখেছিলেন নারায়ণগঞ্জে গডফাদারের শাসন কায়েম হয়েছিল। ওই শামিম ওসমান, সেলিম ওসমান এই প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত করেছিল।

সেই সন্ত্রাসের জনপদ থেকে এ নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ আপনার আমার সবার। নারায়ণগঞ্জে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও লুটপাতকারীদের স্থান হবে না। গত ১৫ বছরে আমরা এই নারায়ণগঞ্জে কি দেখেছি।নারায়ণগঞ্জের হত্যা, গুম খুন আর অপহরণ নিত্যদিনের অবস্থা পরিণত হয়েছিল। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন নারায়ণগঞ্জে সাত খুন হয়েছিল। বন্দরের শেষ মাথায় শান্তি চরে শীতলক্ষায় লাশ ইট দিয়ে বেঁটে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কি অন্যায় করেছিল আইনজীবী চন্দন সরকার কি অন্যায় করেছিল নজরুলসহ আরো যারা ছিল তাদেরকেও এভাবে হত্যা করা হলো। আপনারা দেখেছেন ওই নিরীহ  মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে পাঁচ খুন থেকে চার ও তিন খুন সহকারে অসংখ্য খুন হয়েছে। সে সময় যেখানে তাকিয়ে ছিল ও আওয়ামী লীগর হত্যা রাজনীতি ছিল। এ সকল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। 

তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে কিন্তু নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের কোন ভাল লোক আসতে চেতো না। কারণ নারায়ণগঞ্জ হলো সন্ত্রাসের জনপদ সেখানে গেলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো না। আজকে বাংলাদেশের যেখানেই যাবেন দেখবেন যে কত সুন্দর সুন্দর রাস্তা। অথচ নারায়ণগঞ্জে কিন্তু সেরকমভাবে কোন উন্নয়ন হয় নাই।

নারায়ণগঞ্জ হয়েছে সন্ত্রাসের উন্নয়ন। নারায়ণগঞ্জ হয়েছে ওসমান পরিবারের উন্নয়ন। তারা জনগণকে জিম্মি করে লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই টাকা হল জনগণের টাকা এই টাকা অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং যারা এই দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে। 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চুন্নু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবর রহমান, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, সহ- সভাপতি মো.দাদন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান টুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রাহিম, প্রচার সম্পাদক মো. মিলন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ, বন্দর থানা যুবদল নেতা আব্দুর রহমান, সজিব আহমেদ, মাহবুব আলমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স র রহম ন কর ছ ল হয় ছ ল আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার