কুমিল্লা-ঢাকা নিজস্ব বাস সার্ভিস দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের
Published: 21st, January 2025 GMT
কুমিল্লা থেকে ঢাকায় সপ্তাহে একদিন নিজস্ব বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্মারকলিপিতে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঢাকা দেশের রাজধানী হওয়ায় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এমনকি গবেষণা উপস্থাপনার মতো কাজে প্রতিনিয়ত যেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো বাস না থাকা এবং শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাস চালু হলে শিক্ষার্থীরা সহজেই এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সপ্তাহে অন্তত একদিন তারা এ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন। সপ্তাহের এ দিনটি শুক্রবার অথবা শনিবার হতে পারে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন কাউসার বলেন, “ঢাকায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেমন- বিতর্ক, রচনা, কুইজ এবং গবেষণা উপস্থাপনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও শিক্ষা বিষয়ক সেশনে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি আমাদের যারা সিনিয়র আছেন, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তাদের একটা চাকরির পরীক্ষা থাকে ঢাকায়। কুবি থেকে রাজধানীর খুব বেশি দূরে না। প্রশাসনের ইচ্ছা থাকলেই ঢাকাগামী বাস দেওয়া সহজ একটা বিষয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও এই নজির আছে।”
দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
তীব্র খরার কবলে পড়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। সেখানে বাসিন্দাদের সুপেয় পানির প্রধান উৎসটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ গতকাল রোববার এ খবর জানিয়েছে।
তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক বেহজাদ পারসার বরাত দিয়ে আইআরএনএর খবরে বলা হয়, তেহরানে খাবার পানি সরবরাহের পাঁচটি উৎসের একটি আমির কবির বাঁধ। সেটিতে এখন মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি আছে। এটি জলাধারটির মোট ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ।
বেহজাদ পারসা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই পরিমাণ পানি দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ তেহরানের খাবার পানির চাহিদা মেটানো যাবে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মোকাবিলা করছে ইরান। গত মাসে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরান প্রদেশে এবার বৃষ্টির যে মাত্রা, তেমনটা গত এক শতাব্দীতে খুব একটা দেখা যায়নি।
এক কোটির বেশি মানুষের নগর তেহরান তুষারাচ্ছন্ন আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। এই পর্বতমালার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫ হাজার ৬০০ মিটার (১৮ হাজার ৩৭০ ফুট) পর্যন্ত। এই পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো বহু জলাধারে পানির জোগান দেয়।
বেহজাদ পারসা বলেন, এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।
তেহরানে পানি সরবরাহ করা বাকি জলাধারগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই কর্মকর্তা।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।
এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।বেহজাদ পারসা, তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালকপানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ হিসেবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তেহরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বারবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর চলতি গ্রীষ্মে ঘন ঘন পানি সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
জুলাই ও আগস্টে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ইরানে সে সময় তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন একাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে।
ওই দুই মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছুঁয়ে গিয়েছিল।
জুলাই ও আগস্ট মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট) ছুঁয়ে ছিল।ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আজ যেভাবে আলোচনা হয়েছে, পানিসংকট পরিস্থিতি তার চেয়েও গুরুতর।’
ইরানজুড়ে পানিসংকট একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে। ভূগর্ভস্থ সম্পদ ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা ও সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারকে পানি ঘাটতির জন্য দায়ী করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুনপ্রচণ্ড গরমে পানির ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ইরানিদের কম পানি ব্যবহারের আহ্বান২০ জুলাই ২০২৫