বিচার না করলে খুনের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না
Published: 25th, January 2025 GMT
সব অন্যায়ের বিচার দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, খুনের বিচার না হলে খুনের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। লুটপাটের বিচার না হলে লুটপাটের সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজদের বিচার না হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। আমরা বিচার দাবি করি, কিন্তু আইন কেউ হাতে তুলে নিক, এটা পছন্দ করি না। বিচার করতে গিয়ে অবিচার হোক, সেটাও আমরা পছন্দ করি না।
গতকাল শনিবার দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান।
সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, আপনারা কখনোই নিজেদের সংখ্যালঘু মনে করবেন না। সংখ্যালঘু বলে বলেই আপনাদের ওপর এতদিন এত অত্যাচার হয়েছে। আপনারা আমাদের ভাইবোন। আমরা সহমর্মিতার সঙ্গে, গর্বের সঙ্গে এই বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাদের আদর্শ নেই, চরিত্রও নেই। যাদের দেশপ্রেম আছে তারা দেশের জনগণের টাকা চুরি করে না।
জামায়াত আমির আরও বলেন, তরুণ-যুবসমাজকে আমাদের বিরুদ্ধে ভুল বোঝানো হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, এসব ছিল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র। এই যুবকদের শেখ হাসিনা গালি দিয়েছিলেন। সেই গালির প্রকৃত জবাব তিনি পেয়ে গেছেন।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হালিম, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।