ট্যানারি শ্রমিকদের কর্মবিরতি-বিক্ষোভ
Published: 28th, January 2025 GMT
ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য পাঁচটি গ্রেডে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন চামড়া শিল্পনগরীতে কর্মরত বিভিন্ন ট্যানারির শ্রমিকরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে সাভারের হরিণধরা এলাকায় অবস্থিত বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন শতাধিক শ্রমিক।
সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালনকালে শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘ ১৩ মাস তারা অপেক্ষা করছেন, এখন তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, অন্যান্য সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার পরপরই তা বাস্তবায়ন হলেও ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। বিভিন্ন তালবাহানায় শুধু কালক্ষেপণ করছেন। বাধ্য হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সদস্য ও শিল্পনগরীর এপেক্স ট্যানারিতে কর্মরত নারী শ্রমিক নিলুফা আক্তার বলেন, সরকার তাদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছে। যেখানে সর্বনিম্ন মজুরি ১৮ হাজার ১ টাকা এবং সব পক্ষের সম্মতিতেই এ নতুন মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মালিকরা এখন এসে বলেন এ মজুরি তাদের জন্য বেশি হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই স্মৃতিচারন: মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি
গত জুলাইয়ের আজকের এই দিনে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গনহত্যা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশে “মার্চ ফর জাস্টিস" কর্মসূচির ঘোষনা দিয়েছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তাদের সাথে একাত্মতা পোষন করে সেদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যৌক্তিক দাবিতে সেদিন নারায়ণগঞ্জের রাজপথেও নেমেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সেইদিনের সৃতিচারন করতে গিয়ে একটি বেসরকারি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক আব্দুর রাহমান গাফফারি জানান, “স্টুডেন্টরা তুলনামূলক কম উপস্থিত থাকায় সেদিন তারাতাড়ি কলেজ ছুটি হয়ে যায়, তবে আমরা ব্যাগে করে দু টুকরো লাল কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম, ছুটি যদি নাও হয় আমরা লিভ নিয়ে শিক্ষকরা মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে আংশগ্রহন করবো।
তারপর কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পদযাত্রায় বের হই এবং সাইনবোর্ডে অবস্থান করি এবং আন্দোলনরতদের মাঝে বিক্সুট ও পানি বিতরন করি। বিকেল ৪ টায় ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তীদিনের “রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস" কর্মসূচিতে যোগ দিতে বলে উৎসাহ দিয়ে কর্মসূচি শেষ করি।"