বরগুনার তালতলীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক তরুণকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরেকজন। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে।

নিহত আরাফাত খান (২২) উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাদুরগাছা গ্রামের আবদুল জলিল খানের ছেলে। তার হাসের খামার আছে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হাবিব উল্লাহকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, আরাফাত খান শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় তার বন্ধু হাবিুল্লাহকে নিয়ে কচুপাত্রা পুরাতন বাজারের শহিদ সিকদারের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এসময় পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহিদ সিকদার ও তার ছেলে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরাফাত সিকদার, সোহেল সিকদার, ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন তার ওপর হামলা করে। হামলার একপর্যায়ে আরাফাতকে এলোপাতাড়ি মাছ ধরা টেঁটা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাকে। তাকে রক্ষা করতে বন্ধু হাবিবুল্লাহ এগিয়ে গেলে তাকেও গুরুতর জখম করে। এ সময় আশপাশের লোকজন থাকলেও তাদের রক্ষা করতে ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি। স্বজনরা খবর পেয়ে গুরুতর আহত আরাফাত ও হাবিুল্লাহকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাবিবুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরাফাতের বাবা আব্দুল জলিল খান বলেন, ‘শহিদ সিকদার ও তার ছেলে আরাফাত সিকদার, সোহেল সিকদার, ভাতিজা বায়েজিদ সিকদার এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। বিনা কারণে তারা মোর পোলাডারে খুন করছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

অভিযুক্ত শহীদ সিকদারের বাড়ি উপজেলার পচাকোড়িয়া ইউনিয়নের কলা রং গ্রামে। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। এ জন্য তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শারিকখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো.

ফারুক খান জানান, নিহত আরাফাত খান আমার চাচাত ভাইয়ের ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জেরেই শহীদ সিকদার তার ছেলে ও ভাতিজা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জালাল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

ওসি আরও বলেন, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সাগর নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে সোহেল নামের এক ব্যক্তি এসে সবাইকে মারধর করেন। এতে মোটরসাইকেলচালক আরাফাত খান মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরগ ন ছ ত রদল আর ফ ত খ ন ল ল হক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা

ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”

বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩