টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে আ.লীগের সংঘর্ষ, আহত ৮
Published: 2nd, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় লিফলেট বিতরণ করার সময় সাফায়েত নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হন। বিক্ষুব্দ আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাবেশ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
তাৎক্ষণিক আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানাতে পারেননি টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো.
আরো পড়ুন:
ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি, ঠেকিয়ে দিল সেনাবাহিনী-পুলিশ
ফরিদপুরে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২২
ওসি খোরশেদ আলম বলেন, “কর্মসূচির অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘোরাও করে। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে।”
তিনি আরো বলেন, “এছাড়া এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘেরাও করে রাখেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, “খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা ধরে রাখেন। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত আওয় ম ল গ র ন ত কর ম প ল শ সদস কর ম র স ঘর ষ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস