ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাঁচ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। গড় ছিল ১০ এর নিচে। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে এবার সেই রহস্যময় স্পিনারকে ওয়ানডে দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে। মূলত ম্যাচের যেকোনো পর্যায়ে তার উইকেট নেওয়ার সক্ষমতার কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষের ওয়ানডে সিরিজের দলে নেওয়া হয়েছে তাকে। এখানে ভালো করলে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও জায়গা পেয়ে যেতে পারেন বরুণ।

অবশ্য ওয়ানডে সিরিজে বরুণকে নিয়ে ভারতের এখন পাঁচজন স্পিনার আছেন। তারা হলেন- কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর ও বরুণ। তাদের মধ্য থেকে চারজন জায়গা পাবেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে।

এবারই প্রথম ওয়ানডে দলে ডাক পেলেন বরুণ। এ পর্যন্ত তিনি ২৩টি লিস্ট-‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন। এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৬ ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে।

আরো পড়ুন:

চিটাগং ফাইনালে উঠলে বোলিং করতে পারবেন সানি?

শততম টেস্ট খেলেই বিদায় বলবেন করুণারত্নে

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে দুবাই যাওয়ার আগে ভারত আগামী ৬, ৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের হাতে সুযোগ রয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে পরিবর্তন আনার।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে স্কোয়াড:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, আরশদীপ সিং, যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্ত, রবীন্দ্র জাদেজা, হর্ষিত রানা (প্রথম দুটি ওয়ানডে), জসপ্রিত বুমরাহ (তৃতীয় ওয়ানডে) ও বরুণ চক্রবর্তী।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ