চোটের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে না–ও খেলতে পারেন প্যাট কামিন্স। দলটি কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন এই আশঙ্কার কথা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজে পারিবারিক কারণে খেলছেন না কামিন্স। সঙ্গে এ সময়েও অ্যাঙ্কলের চোটে ভুগছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। কামিন্সের এ চোট পুরোনো, তবে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফির পর এটি আরও বেড়েছে।

শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজে কামিন্সের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টিভ স্মিথ। কামিন্স যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শেষ পর্যন্ত না–ই খেলতে পারেন, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেতৃত্ব দিতে পারেন স্মিথ। নেতৃত্ব পাওয়ার দৌড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেডও।

শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজে খেলছেন না, এমন যাঁরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে আছেন, আগামীকাল তাঁদের শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা। সেখানে দুটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কামিন্সের থাকার সম্ভাবনা কম। চোটের সঙ্গে লড়ছেন আরেক পেসার জশ হ্যাজলউডও।

প্যাটির খেলার সম্ভাবনা খুবই কম, যেটা আমাদের জন্য কিছুটা ক্ষতির। হ্যাজলউডও ফিট হওয়ার জন্য লড়াই করছে।অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড

সংবাদমাধ্যম এসইএনকে ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘প্যাট কামিন্স কোনো ধরনের বোলিং এখনো শুরু করেনি। ওর খেলার সম্ভাবনা কম। তার মানে আমাদের একজন অধিনায়ক লাগবে। স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। প্যাটকে ছাড়া আমরা আমাদের দলটাও তৈরি করছি। লিডারশিপের জন্য তাদের কথাই বিবেচনা করছি।’

আরও পড়ুনক্যালিসই সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার, মনে করেন পন্টিং২৭ মিনিট আগে

কামিন্সের চোট নিয়ে ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘প্যাটির খেলার সম্ভাবনা খুবই কম, যেটা আমাদের জন্য কিছুটা ক্ষতির। হ্যাজলউডও ফিট হওয়ার জন্য লড়াই করছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে মেডিকেল ইনফরমেশন পাওয়া যাবে, তখনই আমরা বিস্তারিত জানতে পারব, সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে পারব।’

চোটে ভুগছেন হ্যাজলউড.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ