আশঙ্কা আগেই ছিল, তবে আশার বাণীও ছিল। কিন্তু সত্যি হয়েছে আশঙ্কাই। ইতিহাসের উষ্ণতম জানুয়ারি মাসের খেতাব পেয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি। ইউরোপের পরিবেশ মনিটর কোপারনিকাস জলবায়ু পরিবর্তন পরিষেবা বৃহস্পতিবার প্যারিসে দিয়েছে এই তথ্য।

সংস্থাটি বলছে, শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় ১.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে গত মাসের তাপমাত্রা। যদিও বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন, শীতল ‘লা নিনা’ অবস্থার কারণে গত বছরের রেকর্ড সৃষ্টিকারী বৈশ্বিক তাপমাত্রা এ বছরে এসে কিছুটা কমবে। কিন্তু তাপমাত্রা না কমে উল্টো রেকর্ড মাত্রায় অথবা রেকর্ড মাত্রার কাছাকাছি অবস্থান করছে। কেন আবহাওয়ার এমন বৈরী রূপ– এ প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পাননি আবহাওয়াবিদ ও বিজ্ঞানীরা।

কোপারনিকাসের জলবায়ু বিজ্ঞানী জুলিয়েন নিকোলাস বলেছেন, আমরা যেমনটা প্রত্যাশা করেছিলাম, তেমন হচ্ছে না। বৈশ্বিক তাপমাত্রায় শীতল লা নিনার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

কোপারনিকাস জলবায়ু পরিবর্তন সংস্থা বলেছে, বৈশ্বিক থার্মোস্ট্যাটে মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ এখন চরমে পৌঁছেছে। আবহাওয়ার এই চরমভাবাপন্ন অবস্থার বিরূপ প্রভাবে মানবজাতির পাশাপাশি বড় আকারের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতির। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। দ্য গার্ডিয়ান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ