এশিয়ার যে কয়েকটি দেশে বেশি সংখ্যক বন্যহাতির দেখা মেলে, সেগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। দেশটিতে বন্যহাতির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৪২২টি। তবে এসব হাতি এখন দেশটির জন্য বেশ কিছু সমস্যারও কারণ। সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রজননের হারও তুলনামূলক বেশি। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বনাঞ্চলগুলোতে পড়ছে প্রভাব। প্রায়ই হাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। হানা দিচ্ছে ক্ষেত-খামারে। নষ্ট করছে ফসল। সংঘর্ষ বাধছে মানুষের সঙ্গেও।

দেশটির সবচেয়ে সমস্যাসংকুল এলাকা হচ্ছে পূর্বাঞ্চল। সেখানে পাঁচটি প্রদেশে রয়েছে কৃষিজমি ও শিল্পাঞ্চলে ঘেরা ইস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স। কেবল গত বছরই ইস্টার্ন ফরেস্টে ৪ হাজার ৭০০টিরও বেশি সংঘর্ষ ঘটে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৯৪ এক কৃষিজমি; ধ্বংস হয়েছে ৬৭টি সম্পত্তি। গুরুতর আহত হয়েছেন ২২ জন। ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মানুষ-হাতির সংঘর্ষ ঠেকাতে এবার অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে থাই সরকার।

হাতির প্রজনন হার কমাতে চলতি বছর থেকে সীমিত সংখ্যক বন্য মাদি হাতিকে জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে যাচ্ছে দেশটি। যদিও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে জন্মনিয়ন্ত্রণের এ প্রস্তাব।

অনেক পরিবেশবাদী বলছেন, এ পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর সাতটি পোষা থাই হাতির ওপর পরীক্ষামূলকভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা হয়। এতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

একা বাস করতে পারে যে পাখি

কাকাপো একটি ব্যতিক্রমী পাখির নাম। এই পাখি চেনা পরিচিত পাখির মতো আচরণ করে না। ‘‘কাকাপোর আচারণ মানব শিশুর মতো।’’–কাকাপো বিশেষজ্ঞ ডা. রাগবী এই মন্তব্যই করেছেন। 

নিউজিল্যান্ডের একটি অনন্য এবং অত্যন্ত বিপন্ন তোতাপাখি হলো কাকাপো। এটি ‘আউল প্যারট’ নামে পরিচিত। এটি হলো বিশ্বের একমাত্র তোতাপাখি যা দূরে উড়ে যেতে পারে না, তবে গাছে চড়তে পারে। এর ডানা তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পেশী সংযুক্ত করার ক্ষমতা নেই। 

আরো পড়ুন:

কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

কাকাপো একটি নিশাচর পাখি, দিনের বেলা ঘুমায়। তোতাপাখির ভেতর কাকাপো বিশ্বের সবচেয়ে ভারী । একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ পাখির ওজন ৪ কেজি (৮.৮ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।

কাকাপোর পালক হলুদাভ সবুজ রঙের হয়। এই পাখি বনের মধ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। এদের মুখের পালক চাকতির মতো সাজানো থাকে, যে কারণে একে পেঁচা-তোতাও বলা হয়। এই পাখির প্রিয় খাবার রিমু বেরি।

কাকাপো প্রতি দুই থেকে চার বছর অন্তর প্রজনন করে। এর  আবাসস্থল হলো নিউজিল্যান্ডে। বিপন্ন হতে যাওয়া এই পাখিকে বর্তমানে শিকারী-মুক্ত কয়েকটি দ্বীপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই পাখি একাকী বাস করতে পারে।

পুরুষ কাকাপো প্রজনন ঋতুতে সঙ্গীকে আকর্ষণ করার জন্য এক ধরনের গম্ভীর ‘বুমিং’ (booming) শব্দ করে। স্ত্রী কাকাপো একবারে সাধারণত ১ থেকে ৪টি ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৩০ দিন সময় লাগে এবং এই সময়ে মা কাকাপো-ই ডিমে তা দেয় ও বাচ্চার যত্ন নেয়।

মাউরি লোক সাহিত্যে এবং বিশ্বাসের সাথে কাকাপো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে কাকাপো পাখি ভবিষ্যত বলতে পারে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একা বাস করতে পারে যে পাখি