মডেল হিসেবে দর্শক নজর কেড়েছেন অনেক আগেই। এবার অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ফারিন খান। সেই ভাবনা থেকে একের পর এক নতুন গল্প ও চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে পর্দায় তুলে ধরছেন। এবার অভিনয় করলেন ‘প্রথম প্রেমের গল্প’ নামের ভিন্ন ধাঁচের নাটকে।

এটি পরিচালনা করেছেন রুবেল আনুশ। নির্মাতার গল্প ভাবনা থেকে নাটকের চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আব্রাহাম তামিম। নাটকে ফারিনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, মিলি বাশার, সাফিজ মামুন, ফাতেমা নাইস প্রমুখ। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শিগগিরই নাটকটি ক্লাব এলিভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে।

ফারিন খানের কথায়, ‘ভালোবাসার গল্পে যে অনেক বাঁকবদল থাকতে পারে, তা এই নাটকের মধ্য দিয়ে নির্মাতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। নাটকের চরিত্রগুলোতেও পাওয়া যাবে চেনা মানুষের ছায়া। সে কারণে দর্শক নাটকের কাহিনির সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারবেন। একই সঙ্গে চরিত্রগুলোর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে যাপিত জীবনের অনেক মিল খুঁজে নিতে পারবেন। জীবনঘনিষ্ঠ গল্প বলেই চেষ্টা করেছি চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে পরিচালকের নির্দেশ মতো অভিনয় করে যাওয়ার। আশা করছি, প্রথম প্রেমের গল্প অভিনয় ক্যারিয়ারে আলোচিত একটি কাজ হয়ে থাকবে।’ 

পাশাপাশি ‘আজান’ নামে আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছেন ফারিন খান। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন পুলক অনিল। এতে ফরিনের বিপরীতে দেখা যাবে ইরাফান সাজ্জাদকে। নাটকটি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন তরুণ এ অভিনেত্রী।

ফারিন বলেন, ‘সমসাময়িক তারকাদের মতো অভিনয়ে পারদর্শী না হলেও ভালো কাজের জন্য আমি ভীষণভাবে তৃষিত। আমার এই তৃষ্ণা পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠার। তাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে আমার উপলব্ধি এটিই, অভিনয় হলো জীবনের প্রতিচ্ছবি, যা নানা রঙে আঁকতে হবে। ঘটনাবহুল নানা অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যে কাহিনির বিন্যাস, তা সুনিপুণ অভিনয় দিয়েই বাস্তব করে তুলতে হবে। এ কারণেই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কখনও অগ্রজ শিল্পী ও নির্মাতাদের কাছে, কখনও আশপাশের মানুষ ও তাদের যাপিত জীবন দেখে। এভাবেই একটু একটু করে পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠার চেষ্টায় আছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা

শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে কখনও অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও ২০০৮ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় উঠেছিল, তবু ধীরলয়ে পথ হেঁটে গেছেন। নিজের কাজে অতিমাত্রার উচ্ছ্বাসও দেখাননি কখনও। নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সবসময়। গানে গানে কুড়িয়ে চলেছেন শ্রোতার ভালোবাসা। এ কারণে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। বলছি, কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজার কথা। গানের ভুবনে অন্তহীন পথচলায় যিনি এরই মধ্যে পেরিয়ে এসেছেন প্রায় দেড় যুগের পথ। সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার রহস্যটা কী? শুরুতে যখন এ প্রশ্ন লিজার সামনে তুলে আনা হলো, তখন দেখা গেল, লিজা নিজেই এর উত্তর খুঁজতে বসে গেছেন। এ পর্যায়ে হেসে বললেন, ‘না, এর উত্তর সত্যি জানা নেই। আসলে আমি তো গান গাই শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ আর ভালোবাসা কুড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতে গানের চর্চা ধরে রেখেছি বললে ভুল হবে না। তারপরও প্রতিটি আয়োজনে শ্রোতার ভালোলাগা, মন্দলাগাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এতে করে কতটুকু জনপ্রিয়তা পেয়েছি। সেই জনপ্রিয়তা শুরু থেকে একই রকম আছে কিনা– সেটি তো শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন।’ লিজার এ কথা থেকে বোঝা যায়, যাদের কারণে শিল্পীজীবন বেছে নেওয়া, সেই শ্রোতা তাঁর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেখানে তাঁর গানগুলো ছিল চালিকাশক্তি। তবে ১৭ বছরের সংগীতের এ পথচলায় লিজার কণ্ঠে মেলোডি গান বেশি শুনতে পাওয়া গেছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই দেড় যুগে নানা ধরনের গান গেয়েছি, তবু কেন জানি শ্রোতারা আমাকে মেলোডি গানের শিল্পীদের দলে রেখে দিয়েছেন। অস্বীকার করব না যে, আমার কণ্ঠে যে ধরনের গান ভক্তরা বেশি শুনতে চান, সে ধরনের গান বেশি গাই। এটিও ঠিক যে, মেলো কিংবা স্যাড-রোমান্টিক গানের প্রতি শ্রোতার ভালোলাগা সবসময় ছিল। এখনও অনেকে মেলোডি ছাড়া গানের কথা ভাবতে পারেন না। এজন্য নিরীক্ষাধর্মী কাজ করলেও আমি চাই না মেলোডি থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে। তাই মেলোডি গান যেমন গাইছি, তেমনি গানের নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছি।’ লিজার এ কথা যে মিথ্যা নয়, তা সর্বশেষ প্রকাশিত গানগুলোর শুনলে প্রমাণ মেলে। ক’দিন আগে বিটিভির ‘বৈঠকখানা’ অনুষ্ঠানে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মুহিনের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার নামে’ গানে যে লিজাকে শ্রোতা আবিষ্কার করবেন, তার সঙ্গে মেলানো কঠিন হবে সামজ ও রিজানের সঙ্গে ‘তিতা কথা’ গানের লিজাকে। আরেকটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ‘খুব প্রিয় আমার’, ‘তুমি এলে’, ‘পূর্ণিমা চাঁদ’ গানগুলোয় লিজা অতীতের গায়কীকে ছাপিয়ে কীভাবে আরও নতুন হয়ে নিজ কণ্ঠ তুলে এনেছেন। 

মাঝে কিংবদন্তি শিল্পীদের বেশ কিছু কালজয়ী গানের রিমেকে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন সংগীতবোদ্ধাদের। স্টেজ শো, রেডিও, টিভির আয়োজন থেমে শুরু করে সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি অন্যদের চেয়ে কোনোভাবে পিছিয়ে নন। এককথায়, বহমান সময়টিকে সুরেলা করে রেখেছেন অনিন্দ্য কণ্ঠ জাদুতে। 

আগামীতেও লিজার কণ্ঠ বাতাসে ভেসে বেড়াবে– এ অনুমান করা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিষ্টি মেয়ের গল্প
  • চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা
  • গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা
  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে চান ইয়ামাল
  • নির্মাতার ঘোষণার অপেক্ষায় চিত্রাঙ্গদা
  • শিশুর মাথা ঘামে কেন
  • কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত হাওয়া