পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ২৬ বছর বয়সী ওপেনার ম্যাথিউ ব্রিটজকে। ওয়ানডে অভিষেকে তিনি ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন। ১৪৮ বলের ইনিংস ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় সাজিয়েছেন। অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের ১৯তম ব্যাটার তিনি। 

তবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে ১৫০ রানের ইনিংস খেলা প্রথম ক্রিকেটার এই ম্যাথিউ ব্রিটজকে। এই কীর্তির পথে ৪৭ বছরের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে প্রথম সেঞ্চুরি আসে ১৯৭২ সালে। 

তবে ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিএল হায়নেস অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। পরের ব্যাটাররা আর ১৩০ রানের গন্ডি পার হতে পারেননি। এবার যেটা করে দেখালেন ব্রিটজকে। এছাড়া ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার তিনি। এর আগে ইনগ্রাম, টেম্বা বাভুমা ও রেজা হেনড্রিকসের ওই কীর্তি আছে। 

ব্রিটজকের ব্যাটে ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জেসন স্মিথ ৫১ বলে ৪১ রান করেন। পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলডার ৬০ বলে ৬৪ রান করেন। ওপেনিংয়ে ব্রিটজকে দুর্দান্ত ওমন ইনিংস খেলার পরও লাহোরের উইকেট বিবেচনায় কিছু রান কমই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন র ইন

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা

জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।

এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ