বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য অনুশীলন শুরু করেছিলেন কয়েকজন ক্রিকেটার। রোববার থেকে জাতীয় দলের এই অনুশীলন পেয়েছে আনুষ্ঠানিকতা। কাল ফ্লাডলাইটের নিচেও অনুশীলন হয়েছে, চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘সেরা প্রস্তুতি’ হচ্ছে না বলেই মনে করেন হেড কোচ ফিল সিমন্স।

কেন? কারণটা স্পষ্ট হবে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি তিন প্রতিপক্ষ কী করছেন তা জানলে। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে।

আরেক প্রতিপক্ষ ভারতও ওয়ানডে খেলছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর প্রায় দেড় মাসের বিপিএল যাত্রা শেষে দিন দশেকের মধ্যেই তাদের নামতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। প্রস্তুতি বলতে মিরপুরে পাঁচ দিনের ক্যাম্প।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে তাই আজ সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেছেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত যে এটা সেরা প্রস্তুতি হচ্ছে না।’

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লম্বা হচ্ছে চোটের মিছিল০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এরপরই অবশ্য প্রস্তুতির ঘাটতিতে খুব বেশি সমস্যা হবে না বিশ্বাস তাঁর, ‘একটা জিনিস বলতে পারি, তারা ক্রিকেট খেলবে আর সেটা সাদা বলেই। এটার মানে হচ্ছে তারা স্কিলের দিক থেকে শার্পই আছে। স্কিল আছে, আমরা তাদের পারফর্ম করতে দেখেছি, এখন কেবল মানসিকতাটা ওয়ানডের জন্য করতে হবে।’

অনুশীলনে বাংলাদেশ দল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ