দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। শুরু হয়ে গেছে ভবিষ্যদ্বাণীও। কে জিতবে এই টুর্নামেন্ট? সুনীল গাভাস্কারের চোখে ভারত ফেবারিট। রবি শাস্ত্রী পাকিস্তানকেও পিছিয়ে রাখছেন না। রিকি পন্টিং আবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে কাউকে ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরনও মুখ খুলেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফেবারিট নিয়ে।

আরও পড়ুনবাবরকে নিয়ে কেউ ঠাট্টা করলে ভালো লাগে না পাকিস্তানি এই মডেল-অভিনেত্রীর১ ঘণ্টা আগে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৩৪৭ উইকেটশিকারি মুরালিধরন মনে করেন, এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে সর্বশেষ ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। অর্থাৎ এবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফাইনালের আশা করছেন মুরালিধরন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে পাকিস্তান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা

দুই ঘণ্টার বৃষ্টিবিঘ্নের পর অবশেষে নাবি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৫ এর প্রতীক্ষিত ফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ব্যাট হাতে মাঠে নামে ভারত।

শুরুটা দারুণ করে ‘উইমেন ইন ব্লু’। ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা গড়েন ১০৪ রানের জুটি। এই রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হন মান্ধানা। আর তাতেই রচনা হয় নতুন ইতিহাস। মিতালি রাজকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের এক আসরে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে যান মান্ধানা।

আরো পড়ুন:

গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম

রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাবে

চলতি বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে মান্ধানার মোট রান ৪৩৪, যা ২০১৭ সালের আসরে মিতালি রাজের করা ৪০৯ রানের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।

ভারতের হয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকা:
৪৩৪ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২৫)
৪০৯ – মিতালি রাজ (২০১৭)
৩৮১ – পুনম রাউত (২০১৭)
৩৫৯ – হারমানপ্রীত কৌর (২০১৭)
৩২৭ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২২)

এবারের আসরে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মান্ধানা:
এখন পর্যন্ত দুইটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন স্মৃতি মান্ধানা। ২০১৭ সালের আসরেই প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। করেছিলেন ৩২৭ রান। আর এবার ২০২৫ বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪.২৫ গড়ে ৪৩৪ রান। যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স।

তবে শুরুটা কিন্তু খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। প্রথম তিন ম্যাচে তিনি করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। কিন্তু এরপরই যেন জেগে ওঠেন। টানা দুটি ফিফটির পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।

সেমিফাইনালে ভালো শুরু করেও বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেননি ২৯ বছর বয়সী এই ওপেনার। ফাইনালেও ভালো সূচনা করে ৫৮ বলে ৮টি চার মেরে ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্তম্ভিত হারমানপ্রীত, আবেগ-রোমাঞ্চ-গর্ব-ভালোবাসায় মিলেমিশে একাকার
  • মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা