বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) গাজীপুর জেলার আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সাত দিন পরেই রদবদল করে পুনরায় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

গত রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর বিএনপির তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ফজলুল হক মিলনকে আহ্বায়ক, শাহ রিয়াজুল হান্নানকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। 

ওই কমিটি ঘোষণার সাত দিন পরেই মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চার সদস্যের সংশোধিত আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

ওই কমিটিতে ফজলুল হক মিলনকে আহ্বায়ক পদে রেখে শাহ রিয়াজুল হান্নানকে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীকে যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে সদস্য সচিব করা হয়। নতুন করে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে ডা.

রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর জেলা বিএনপির পুনর্গঠিত আংশিক আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক, ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে জেলাধীন উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটিগুলো অনুমোদন হবে। আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি জেলাধীন সকল স্তরের ইউনিটে সম্মেলন ও কাউন্সিল করে জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল করবে।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ক কম ট সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ