শেষ পর্যন্ত বুমরাহকে বাদ দিতেই হলো ভারতের
Published: 12th, February 2025 GMT
ভারত চেষ্টার কমতি রাখেনি। তবে সব চেষ্টাকে বৃথা করে শেষ পর্যন্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন জাসপ্রীত বুমরাহ। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পেসার জাসপ্রীত বুমরাহর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউডের পর মিচেল স্টার্কও ছিটকে গিয়েছেন এই টুর্নামেন্ট থেকে। বুমরাহও সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পেস বোলিংয়ের সৌন্দর্য সত্যিকার অর্থেই খর্ব হলো।
গত ১৮ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ভারত তাদের ১৫ জনের তালিকা ঘোষণা করেছিল। সেখানে ছিল বুমরাহর নাম। একইসঙ্গে তাকে রাখা হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের দলেও। ভারতের আশা ছিল শেষ ম্যাচটি খেলেই নিজেকে আবার মাঠে ফিরিয়ে আনবেন বুমরাহ। তবে এই ৩১ বছর বয়সী পেসার এখনও মাঠে নামার ফিটনেস ফিরে পাননি। তাই তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শেষ (সিডনি) টেস্টে পিঠের নিচে চোট পান এই ডানহাতি পেসার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা অনেকটা একাই ভারতের হয়ে লড়েছিলেন। সিরিজের শেষ ইনিংসে চোটের কারণে বল করতে পারেননি। তবুও সিরিজজুড়ে দারুণ ফর্মে ৩২ উইকেট তুলে নিয়ে হন সেরা খেলোয়াড়। পিঠের চোটের কারণে তাকে পাঁচ সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বিশ্রাম শেষ হওয়ার কথা ছিল।
আরো পড়ুন:
‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যে যাচ্ছি’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফটোসেশনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
বুমরাহর পরিবর্তে তরুণ পেসার হার্ষিত রানা সুযোগ পেয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে। এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিসিসিআই) স্কোয়াডে আরও চমক এনেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চূড়ান্ত স্কোয়াডে যশস্বী জয়সোয়াল জায়গায় যুক্ত করা হয়েছে স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় এই ডানহাতি রহস্যময় স্পিনারকে দলে নেওয়া হয়। ইংলিশদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ১৪ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন বরুণ।
ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হার্ষিত রানা, মোহাম্মদ শামি, অর্শদ্বীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত