Samakal:
2025-09-18@03:26:36 GMT

রাহুল গান্ধীকে আদালতে তলব

Published: 12th, February 2025 GMT

রাহুল গান্ধীকে আদালতে তলব

ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অবমাননা করে মন্তব্য করার অভিযোগে দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করেছেন উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের এমপি এমএলএ আদালত। ইতোমধ্যে তাঁকে তলবের নোটিশও পাঠানো হয়েছে। দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। 

লক্ষ্ণৌয়ের এই আদালতটি একটি বিশেষায়িত আদালত, শুধু এমপি এবং বিধায়কদের মামলার বিচার হয় এ আদালতে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীন সড়ক নির্মাণ সংস্থা বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (ব্রো) সাবেক পরিচালক শঙ্কর শ্রীবাস্তবের করা একটি মামলার জেরে রাহুলকে পাঠানো সেই নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহের যে কোনো দিন আদালতে হাজির হতে হবে তাঁকে।

মামলার অভিযোগপত্র অনুসারে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচি চলাকালে এক জনসভায় রাহুল মন্তব্য করেছিলেন, অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনাদের মারধর করছে চীনের সেনারা। একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এবং জনপ্রতিনিধির এহেন মন্তব্য ভারতের সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে, বলা হয়েছে অভিযোগপত্রে। যদিও এই ভারত জোড়ো যাত্রাই কংগ্রেসকে যে উজ্জীবিত করেছে, তা বোঝা গেছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। এই নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই করে দলটি, যার কৃতিত্ব রাহুলকেই দেওয়া হয়।

রাহুল-ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসীন বিজেপির সমালোচনা করে এ মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। সেনাবাহিনীকে অবমাননা করার কোনো উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

ভারতের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বরাবরই বিজেপির কঠোর সমালোচক। বিজেপিও অবশ্য এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। দলটির অনেক নেতা ইতোমধ্যে রাহুলকে ‘দেশবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকে এমন অভিযোগও তুলেছেন, নিজের পিতার নামে করা সংস্থা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের জন্য রাহুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত চীনের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেন। এসব দুর্নাম রাহুলকে বিজেপির সমালোচনা করা থেকে ঠেকাতে পারেনি। খবর এনডিটিভির।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’

সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’

অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি‌ বরাবর অভিযোগ করেন।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ