পার্বতীপুর ছাড়তে আল্টিমেটাম, বাসায় অফিস করছেন ইউএনও
Published: 13th, February 2025 GMT
পার্বতীপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা খাতুনের অপসারণ ও তার অনিয়ম, দুর্নীতির বিচার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন। ইউএনওকে পার্বতীপুর ছাড়তে দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কার্যালয় ছেড়ে বাংলো বাড়িতে অবস্থান নেন। ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ করেন ইউএনও। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তাকে পার্বতীপুর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেই। পরে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি কার্যালয় ত্যাগ করলে আন্দোলনকারীরা কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেয়।
স্থানীয় জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে ফাতেমা খাতুন পার্বতীপুর উপজেলায় যোগদান করেন। গত ৫ আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন হলে একই বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ইউএনও পদে বদলির আদেশ পান। কিন্তু সেখানে যোগদান করেননি। একইভাবে ২০২৫ সালে জানুয়ারি মাসে তাকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বদলি করা হলে সেখানেও ‘তদবির’ করে রহিত করেন।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা খাতুন বলেন, কিছু আন্দোলনকারী কার্যালয়ে এসে আন্দোলন করেছে। আমি বাকবিতণ্ডা এড়াতে কার্যালয় ত্যাগ করেছি। আজ বৃহস্পতিবার বাসায় বসেই অফিস করছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা আমার কাছে সুবিধা নিতে পারেননি; তারাই আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন। আমার বিরুদ্ধে যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন।
রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন
ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে
আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ