গণ-অভ্যুত্থানের এই মহানগরে অনেক রক্ত, অশ্রু, শোক, বেদনার প্রহর পেরিয়ে আজ প্রাণের উত্তাপ নিয়ে, প্রেমের বারতা বয়ে আনল বসন্ত। তবে অমর একুশের বইমেলায় বসন্তের রঙের ছোঁয়া লেগেছিল গতকালই। বেলা তিনটায় মেলার দ্বার খোলার পর থেকেই দলে দলে সুসজ্জিত নারী–পুরুষ আসতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে। কিশোরী, তরুণী থেকে গৃহিণী—অধিকাংশ নারীর পরনেই ছিল বাসন্তী রঙের শাড়ি। মেলায় প্রবেশপথের সামনেই সারি দিয়ে বসেছে গাঁদা-গোলাপসহ মৌসুমি ফুলের পসরা। সেখান থেকে মালা বা ফুলের রিং কিনে তাঁরা বসন্তের সাজ পূর্ণ করেছেন রঙিন ফুলে ফুলে। পুরুষদের পরনেও ছিল সঙ্গিনীর সঙ্গে মানানসই পাঞ্জাবি বা উজ্জ্বল রঙের পোশাক। তাতেই বসন্তের রঙিন আভাস ছড়িয়ে পড়েছিল বইমেলায়।
রূপ নারানের কূলে আহমাদ মোস্তফা কামাল কথা প্রকাশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বসন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১ হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আগামী ২৩ ও ২৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার কেবাংসান বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
আইইইই ইয়েসিস ১২-২০২৫ (ইয়ুথ ইন্ডিয়েভার্স ফরর সোশাল ইনোভেশন ইউজিং সাসটেইনেবল টেকনোলজি) একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা, যা বিভিন্ন দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের সামাজিক সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই সমাধান খুঁজতে উৎসাহিত করে।
আরো পড়ুন:
করোনা ও ডেঙ্গু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা
ক্যানস্যাট প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় দ্বিতীয় ইউআইইউ অ্যাসেন্ড দল
তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, নাইমুর রহমান ও কর্নেল আহমেদ রাহুল।
অনলাইনে তাদের দাখিলকৃত প্রজেক্ট ‘ইন্টেলিজেন্স সেফগার্ড’ একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক স্মার্ট ডিটেকশন অ্যান্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম-বিচারকমন্ডলী দ্বারা প্রশংসিত হয়ে বিশেষ বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। এই প্রজেক্টটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল।
সহকারী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র পাল বলেন, “পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর প্রজেক্ট ‘ইন্টেলিজেন্স সেফগার্ড’ একটি অত্যাধুনিক বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক স্মার্ট ক্রাইম ডিটেশন অ্যান্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম মানুষের কণ্ঠ, ছবি, ভিডিও এবং যানবাহনের নাম্বার প্লেট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধে সহায়তা করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। এই প্রজেক্টের আইডিয়া বাস্তবায়িত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে অপরাধের মাত্রা কমবে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসান অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এক বার্তায় তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি করেছে এবং প্রমাণ করেছে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের মেধা ও দক্ষতার অধিকারী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের যাত্রা আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন ও কৃতিত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তাদের সাফল্য সকল শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করবে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী